ওল্ড ট্রাফোর্ডে লিভারপুলের বিপক্ষে লিগে টানা ৬ ম্যাচ অজেয় থাকলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০০০ সালের মার্চের (টানা ১০ ম্যাচ) পর রেডদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে এটাই তাদের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে অজেয় থাকার রেকর্ড। ৯ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল। সমান খেলে ৬ পয়েন্ট পেছনে থেকে দ্বিতীয় স্থানে ম্যানসিটি (১৯)। ম্যানইউ ১০ পয়েন্ট নিয়ে এক ধাপ ওপরে উঠে ১৩তম স্থানে।
৮ ম্যাচে শতভাগ সাফল্য ধরে রেখে ম্যানইউর মুখোমুখি হয়েছিল লিভারপুল। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৫ ম্যাচ ধরে জয়হীন থাকা দলের বিপক্ষে তারাই ছিল ফেভারিট। গোলপোস্টের নিচে এদিন তারা পেয়েছিল আলিসনকে, যদিও ছিলেন না মোহাম্মদ সালাহ। সাদিও মানে ও রবার্তো ফিরমিনোর সঙ্গে শীর্ষ দলটির আক্রমণভাগে যুক্ত হন ডিভোক ওরিগি। আর রক্ষণে ভার্জিল ফন ডাইকের সঙ্গে যোগ দেন জোয়েল মাতিপ। দুটি পরিবর্তন আসে ম্যানইউর একাদশে। অসুস্থতা কাটিয়ে ফেরেন অ্যারন বান-বিসাকা ও ভিক্তর লিন্ডেলফ।
৩৪ মিনিটে ফিরমিনোর শট দাভি দে গেয়া ফিরিয়ে দিয়ে হতাশ করে লিভারপুলকে। দুই মিনিট পর দুর্দান্ত এক গোলে ম্যানইউ এগিয়ে যায়। জেমস দ্রুত দৌড়ে বক্সের মধ্যে ক্রস দেন, চমৎকার এই ক্রস থেকে লক্ষ্যভেদ করেন র্যাশফোর্ড।
বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগে লিভারপুল সমতা ফেরানোর উচ্ছ্বাস করে। কিন্তু ম্যানইউ ভিএআরের জোর আবেদন জানায়। রেফারি তাতে সাড়া দেন এবং রিপ্লেতে দেখেন বল জালে ঠেলার আগে সাদিও মানের হাতে লেগেছিল। বাতিল হয় লিভারপুলের গোলটি।
দ্বিতীয়ার্ধে লিভারপুল সমতা ফেরাতে মরিয়া ছিল। ৭১ মিনিটে জর্ডান হেন্ডারসনের বদলি নামা অ্যাডাম লালানা বদলে দেন স্কোর। ৮৫ মিনিটে অ্যান্ডি রবার্টসনের দারুণ ক্রসে গোলমুখের সামনে অরক্ষিত থাকা লালানা সমতা আনেন ম্যাচে। ইনজুরি সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে অ্যালেক্স ওক্সারলেড চেম্বারলেইনের শট গোলবারের পাশ দিয়ে চলে যায়।