গতবারের লিগ রানার্স-আপ ঢাকা আবাহনীতে খুব বেশি বদল আসেনি। শুধু দুজনকে ছেড়ে দিয়েছে তারা। ডিফেন্ডার তপু বর্মণ ও মিডফিল্ডার আতিকুর রহমান ফাহাদকে বিদায় দিয়ে তারা এনেছে ডিফেন্ডার নাসিরউদ্দিন চৌধুরী ও মিডফিল্ডার সোহেল রানাকে।
স্থানীয় খেলোয়াড়দের সঙ্গে পাঁচ বিদেশি খেলোয়াড় দলভুক্ত করে শিরোপা লড়াইয়ে থাকতে চাইছে আকাশী-হলুদ জার্সিধারীরা। ঢাকা আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আমরা এবারও ভালো ফল করতে চাই। ঘরোয়া মৌসুমে তিনটি প্রতিযোগিতা আছে। আমরা সেখানে শিরোপার জন্য লড়বো। আর এএফসি কাপে আগের পারফরম্যান্স ধরে রাখার লক্ষ্য আমাদের।’
গত মৌসুমের চেয়ে এইবার আরও ভালো দল হয়েছে বললেন আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিৎ দাশ রুপু। আশাবাদী কণ্ঠে তিনি বলেছেন, ‘লিগে গতবার অনেক গোল করলেও গোল খেয়েছি আরও বেশি। আমাদের রক্ষণে সমস্যা ছিল। এই সমস্যা যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখে দল গড়ার চেষ্টা করেছি। এজন্য দুজন বিদেশি ডিফেন্ডারকে নেওয়া হয়েছে। গতবারের চেয়ে এবারের দল অনেক ভালো। আমরা আগের লিগ শুরু করেছিলাম পাঁচজন চোটাক্রান্ত খেলোয়াড় নিয়ে। এবার সেই সমস্যা নেই।’
শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপে রানার্স-আপ চট্টগ্রাম আবাহনী। ঘরোয়া ফুটবলে তারাও চমক দেখাতে চাইছে। গতবার অষ্টম হয়ে লিগ শেষ করেছিল দলটি। এবার তারা শিরোপায় চোখ রেখে মাঠে নামবে। দলের কোচ মারুফুল হক জানালেন সেই কথা, ‘চট্টগ্রাম আবাহনী কখনও লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়নি। এবার লিগ শিরোপার জন্য আমরা লড়াই করবো। আমি আমার মেধা দিয়ে দায়িত্ব পালন করতে চাই। যেন দল কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছায়।’
গতবার ৭ নম্বরে ছিল মুক্তিযোদ্ধা। এবার আরও ভালো অবস্থানে থাকতে চায় তারা। মুক্তিযোদ্ধার কোচ আব্দুল কাইয়ুম সেন্টু বলেছেন, ‘গতবারের মতো লড়াই করতে চাই। যতদূর সম্ভব পয়েন্ট তালিকায় ওপরের দিকে থাকতে চাই। আমরা তিন সপ্তাহের ট্রেনিং করবো গোপালগঞ্জে। পাঁচ বিদেশি খারাপ না। এখন দেখা যাক, আমরা কতদূর যেতে পারি।’