এত প্রেরণা নিয়েও মোহামেডানের ড্র!

প্রথমে গোল করলেও মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে ড্র করেছে মোহামেডানগ্যালারিতে সাজ সাজ রব। ব্যানার-ফেষ্টুন নিয়ে সমর্থকেরা এসেছিল। ভুভুজেলার সঙ্গে নানা বাদ্য-বাজনা বাজিয়ে ম্যাচের পুরো সময় জুড়ে সাদা-কালো দলটিকে অনুপ্রাণিত করে গেছে তারা। কিন্তু সমর্থকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী মোহামেডান ফেডারেশন কাপের শুরুটা জয় দিয়ে রাঙাতে পারেনি। আগে গোল করে এগিয়ে গিয়েও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে মাঠ ছেড়েছে।

তারুণ্যনির্ভর দল নিয়ে এবার মোহামেডান নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে চায়। ক্যাসিনো-কান্ডের পর সাবেক তারকা খেলোয়াড়েরা দলটির হাল ধরেছেন। বাদল রায়-সাব্বিরদের চেষ্টায় হারানো গৌরব ফিরে পেতে চায় সাদা-কালোরা। তবে নতুন মৌসুমের শুরুটা অন্তত হলো না জয় দিয়ে।

ম্যাচ ড্র করলেও মোহামেডানের পারফরম্যান্স খারাপ ছিল না। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ‘ডি’ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে শুরু থেকে ছিল তাঁদের আক্রমণ। তাই তিন মিনিটের মাথায় গোলও আসে। হাবিবুর রহমান সোহাগের লবে আমির হাকিম বাপ্পীর হেডে লক্ষ্যভেদ হয়েছে। ২২ মিনিটে মালির স্ট্রাইকার সোলেমান দিয়াবাতের হেড গোলকিপার মাহফুজ হাসান প্রীতম দৃঢ়তার সঙ্গে ফিরিয়ে দিয়েছেন।

গোল শোধে মুক্তিযোদ্ধা কম চেষ্টা করেনি। ২৪ মিনিটে মেহেদী হাসানের হেড গোলকিপার মাজহারুল ইসলাম হিমেল তালুবন্দী করেন। ৩৪ মিনিটে ম্যাচে আসে সমতা। বক্সের বাইর থেকে শাহ আলমগীর অনীকের মাটি ঘেঁষা শট জালে জড়ায় (১-১)।

বিরতির পরও কোনও দলই গোল ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। মোহামেডান প্রায় একচেটিয়া খেলেছে। ৬০ মিনিটে সোলেমানের হেড সাইডপোস্টের পাশ দিয়ে যায়। ৬৭ মিনিটে ক্রস থেকে ইউসুফ সিফাত পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন।

৮৩ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধা এগিয়ে যেতে পারতো, যেটি হতে পারতো জয়সূচক গোল ।কিন্তু প্রতি আক্রমণ থেকে সুমন আলীর শট পোস্টে লেগে ফিরে এলে গোল আর পাওয়া হয়নি তাদের।

ড্র করে হতাশ মোহামেডানের অস্ট্রেলিয়ান কোচ শন লেন, ‘আমার দল আজ  ভালো খেলেছে। তবে ম্যাচ জিততে না পেরে আমি হতাশ। গ্যালারি সমর্থকরা এসেছিল উৎসবের সাজে। তাদের জয় উপহার না দিতে পেরে খারাপ লাগছে। তবে খেলোয়াড়েরা ভালো খেলেছে।’

মুক্তিযোদ্ধা হার এড়াতে পেরে খুশি। দলের কোচ আবদুল কাইয়ুম সেন্টু বলেছেন,‘আমরা এখনও অনুশীলনের মধ্যে আছি। কন্ডিশনিং ক্যাম্প করার মাঝেই ফেডারেশন কাপ খেলতে হচ্ছে। তবে প্রথম ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট পেয়ে খুশি।’