ক্লপের হাত ধরে ক্লাব বিশ্বকাপও আসছে লিভারপুলে?

ক্লপ বদলে দিয়েছেন লিভারপুলকেইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সূচনা ১৯৯২ সালে। ২৭ বছর ধরে চলা ইপিএলে ৬টি দলের শোকেসে শোভা পাচ্ছে শিরোপার ট্রফি। কিন্তু সে তালিকায় নেই লিভারপুলের নাম! ব্যাপারটা শুধু বিস্ময়কর নয়, অস্বাভাবিকও বটে। অথচ ইপিএলের আগে প্রথম বিভাগ যখন ইংল্যান্ডের সেরা ফুটবল লিগ ছিল, তখন রেকর্ড ১৮ বা্র শিরোপা উঠেছিল ‘অলরেড’দের ঘরে।

গতবার একটুর জন্য শিরোপা হাতছাড়া করা লিভারপুল এবার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে বড় ব্যবধানে। এবং সবচেয়ে বড় কথা, কোচের আসনে আছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ।  জার্মান এই কোচ এখন আক্ষরিক অর্থেই লিভারপুলের আশা-ভরসার প্রতীক। বছর চারেক আগে দায়িত্ব নিয়ে ঐতিহ্যবাহী দলটিকে একেবারেই বদলে দিয়েছেন।

মাঠে ক্লপের দর্শন, প্রেসিং ফুটবলের পশরা সাজিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখো সব সময়। ছাত্রদের প্রতি তার কড়া নির্দেশ, বলের দখল হারালে যত দ্রুত সম্ভব সেটি পুনরুদ্ধার করো। এই ফুটবল-দর্শন সাফল্যও এনে দিচ্ছে তাকে। গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের কথাই ধরা যাক। বার্সেলোনার মাঠে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত ক্লপের দল। তখন লিভারপুলের কোনও অন্ধ সমর্থকও বোধহয় ফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখার সাহস পাননি। কিন্তু অ্যানফিল্ডে ফিরতি লেগের খেলা শুরু হতেই ‘অলরেড’দের আক্রমণে দিশেহারা বার্সার ডিফেন্স। গুনে গুনে ৪ গোল দিয়ে অবিশ্বাস্য জয়ে লিভারপুল টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে ফেলে মেসির দলকে। ফাইনালে টটেনহামের বাধা পেরিয়ে শিরোপাও আসে ঘরে।

এক ঝাঁক তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলারকে সঙ্গে নিয়ে ক্লপ এগিয়ে চলেছেন। আলিসন-ফন ডাইক-সালাহ-মানে-ফিরমিনোদের এক সুতোয় বেঁধে তিনি লিভারপুলকে এনে দিচ্ছেন ঈর্ষণীয় সাফল্য। এ বছর চ্যাম্পিয়নস লিগের পাশাপাশি জিতেছেন উয়েফা সুপার কাপে । ইপিএলের শিরোপা হাতছানি দিচ্ছে। আজ রাতে বিশ্ব ক্লাব কাপের ট্রফিও চলে আসতে পারে লিভারপুলের ঘরে। ফাইনালে ব্রাজিলের ফ্ল্যামেঙ্গোকে হারাতে পারলে ক্লপের সাফল্যের মুকুটে যোগ হবে আরেকটি পালক। ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি দীর্ঘ মানুষটির শরীর হয়তো উঠে যাবে আরও উঁচুতে।