আবারও ফাইনালে ফিলিস্তিন

আরও একবার ফাইনালে ওঠার উচ্ছ্বাস ফিলিস্তিনেরফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে দুই দলের মধ্যে ব্যবধান কম নয়। কিন্তু মাঠের খেলায় ফিলিস্তিনের সঙ্গে প্রায় সমান তালে লড়ে গেল সেশেলস। শেষরক্ষা যদিও করতে পারেনি তারা। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবলের প্রথম সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ভারত মহাসাগরের ক্ষুদ্র দেশটিকে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিন ১-০ গোলে ম্যাচ জিতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো উঠে গেছে ফাইনালে।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার ম্যাচের শুরুর দিকে সেশেলস গোলের সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেনি। সাত মিনিটে কার্ল হলের ফ্রি-কিক ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। ৪০ মিনিটে ফিলিস্তিনের মারাবাহর শট সেশেলস গোলকিপার ফিরিয়ে দিয়ে দলকে ম্যাচে রাখেন।

দ্বিতীয়ার্ধের আক্রমণ-প্রতিআক্রমণনির্ভর ফুটবল খেলেছে দুই দলই। ৪৭ মিনিটে সেশেলসের পেরি মনিয়াই গোলকিপারের কাছে বল পাঠিয়ে দারুণ সুযোগ নষ্ট করেছেন। ৫০ মিনিটে তাদের আরও একটি প্রচেষ্টা নস্যাৎ হয়। ব্রেন্ডন লাবরোজে লক্ষ্যে ঠিকঠাক শট নিতে পারেনি।

ফিলিস্তিন ৭৪ মিনিটে ভালো সুযোগ পায়। কিন্তু মারাবাহর হেড পোস্টের পাশ দিয়ে যায়। ছয় মিনিট পরই জয়সূচক গোল করেন লেথ খারৌর। ডান প্রান্ত থেকে ক্রস করতে গিয়ে তার বাকঁ খাওয়া শট জালে আশ্রয় নেয়।

সেমিফাইনালে উঠতে পেরে ফিলিস্তিনের সহকারী কোচ ফাহাদ আত্তেল উচ্ছ্বসিত, ‘টানা দ্বিতীয়বার আমরা ফাইনালে খেলতে যাচ্ছি। আমরা খুশি। এখন আমরা ফাইনাল জিততে চাই।’

উচ্ছ্বাসের মধ্যে আত্তেলের একটু খারাপও লাগছে, ‘দলের পারফরম্যান্স আরও ভালো হওয়া উচিত ছিল। আসলে বেশি বিশ্রাম পাওয়াতে আমাদের একটু সমস্যা হয়ে গেছে। খেলোয়াড়দের মধ্যে নির্ভার ভাব চলে আসে। তবে সেশেলসও ভালো খেলছে।’

ভালো খেলেও ম্যাচ জিততে না পেরে সেশেলস কোচ রালফ জিন লুইস হতাশ, ‘আমরা ভালো খেলেছি। কিন্তু সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। আমাদের দুর্ভাগ্য যে ফাইনালে খেলা হলো না। তবে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে আমি খুশি।’