তবু তৃপ্তি দিচ্ছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় ফুটবল

১৩ বছর পর শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপদীর্ঘ ১৩ বছর গত জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ মাঠে গড়িয়েছে। প্রাথমিক পর্বে অংশ নিয়েছে ৬৩ জেলা। প্রাথমিক পর্ব ও সেবা বিভাগ মিলিয়ে মার্চের প্রথম সপ্তাহে ১০টি দল চূড়ান্ত পর্বে খেলার অপেক্ষায়। কুমিল্লা, নেত্রকোণা, কক্সবাজার, পাবনা, রংপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, সিলেট, বিকেএসপি ও সেনাবাহিনী দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে লড়বে। দুই গ্রুপ থেকে শীর্ষ চার দল খেলবে সেমিফাইনাল। বিজয়ী দুই দল লড়বে শিরোপার জন্য।

তবে এই প্রতিযোগিতাকে ঘিরে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ বলছেন পর্যাপ্ত সময় পেলে আরও ভালোভাবে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকতো। এই দলের একজন নাটোর জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফএ) সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোস্তাক আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘অনেকদিন পর এই প্রতিযোগিতা হয়েছে। এটা ফুটবলের জন্য ভালো। তবে তড়িঘড়ি করে এটি আয়োজন না করে একটু সময় নিয়ে করলে ভালো হতো। তাহলে আমরা সময় পেতাম। মাঠে দর্শক আনতে সুবিধা হতো।’

শেরপুর ডিএফএ’র সভাপতি মানিক দত্ত বলছেন অন্য কথা, ‘এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে আমাদের অনেক খরচ হয়েছে। সেই অনুযায়ী পর্যাপ্ত টাকা পাইনি। এছাড়া রেফারিং নিয়ে আমাদের অভিযোগ ছিল। তারপরেও এমন প্রতিযোগিতা যাতে প্রতিবছর হয়,সেটাই চাইছি আমরা। এখানেই যেন থেমে না যায়।’

বান্দরবান ডিএফএ’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন এমন প্রতিযোগিতা আরও চাইছেন, ‘আমরা বেশ খুশি এমন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে। বিশেষ করে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিক প্রতিযোগিতা এবারই প্রথম খেললাম। আমাদের এখানে দর্শকও হয়েছে প্রচুর।এই আয়োজনের ধারাবাহিকতা থাকলে অনেক খেলোয়াড়ই বেরিয়ে আসবে।’

প্রতিযোগিতায় ৬৩টি জেলাদল অংশগ্রহণ করেছে। শুধু কিশোরগঞ্জ ডিএফএতে কমিটি না থাকার কারণে তারা অংশ নিতে পারেনি। এরমধ্যে একটি বিব্রতকর ঘটনাও আছে। ঝিনাইদহ ও খুলনা জেলার মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে দুই জেলা ম্যাচের দিনে ছিল দুই ভেন্যুতে! পরে খুলনা জেলাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রতিযোগিতা আয়োজন নিয়ে অবশ্য সন্তুষ্ট সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ। রবিবার কমিটির সভাশেষে বলেছেন, ‘ফুটবলকে দেশব্যাপী চাঙা করার জন্যই এই আয়োজন। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ভালো সাড়া পেয়েছি। ভালো দর্শকও হয়েছে। ঝিনাইদহ ও খুলনার মধ্যে ম্যাচ নিয়ে শুধু সমস্যা হয়েছিল। বাকি সব জেলাই খেলেছে। এখন চূড়ান্ত পর্ব আরও ভালোভাবে আয়োজনের চেষ্টা চলছে।’