বর্ণবাদের শিকার, রাগে-ক্ষোভে মাঠ ছাড়লেন ফুটবলার

অনেক চেষ্টা করেও মাঠে রাখা যায়নি মুসা মারেগাকেবল জালে জড়াতেই বুনো উল্লাস। তার উদযাপনের সঙ্গী  সতীর্থরাও। কিন্তু এ কী, সতীর্থদের সঙ্গে উল্টো বিবাদে জড়িয়ে পড়লেন! শুরুতে এমনটা মনে হয়েছিল সবারই। পরে ধীরে ধীরে সামনে আসতে থাকে আসল ঘটনা। গোল উদযাপনের সময় দর্শকদের কাছ থেকে বর্ণবাদী আচরণের শিকার হওয়াতেই ঘটনার সৃষ্টি। আর সতীর্থদের টানাহেঁচড়ার কারণ ছিল ওই ফুটবলার যেন মাঠ থেকে বেরিয়ে না যান। যদিও শেষ পর্যন্ত তাকে রাখা যায়নি মাঠে। বর্ণবাদের শিকার হয়ে রাগে-ক্ষোভে মাঠ ছেড়ে বেরিয়েই যান ওই খেলোয়াড়।

সাধারণ কোনও প্রতিযোগিতার দৃশ্য নয় এটি, ইউরোপের অন্যতম লিগ পর্তুগালের প্রিমেরা লিগায় ঘটেছে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি। ভিতোরিয়ার মাঠে বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন সাবেক চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী দল পোর্তোর খেলোয়াড় মুসা মারেগা। ফ্রান্সে জন্ম নেওয়া এই মালিয়ান ফরোয়ার্ড গোল করার পরই গ্যালারি থেকে শোনেন ‘বানর’ ডাক। এতে গোল উদযাপন রূপ নেয় বিষাদে। রাগে-ক্ষোভে হাঁটা দেন টানেলের দিকে। সতীর্থরা অনেক অনেক চেষ্টা করেও তাকে বোঝাতে পারেনি।

শুধু নিজের দলের নয়, প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় ও স্টাফেরাও অনেকভাবে শান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। টানেলের দিকে যাওয়া সময় গ্যালারির দিকে ‘মিডল ফিঙ্গার’ দেখিয়ে রাগ উড়তে দেন মারেগা। তবে মাঠ ছাড়ার আগে রেফারির কাছ থেকে দেখেন হলুদ কার্ড। ম্যাচশেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া পোস্টে রেফারির এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন মারেগা, ‘অভিনন্দন জানাই ম্যাচ অফিসিয়ালদের, যারা আমাকে সমর্থন না দিয়ে উল্টো হলুদ কার্ড দেখিয়ে আমার গায়ের রঙের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন। আশা করছি ফুটবল মাঠে এমন দৃশ্য আর আসবে না।’

মারেগার ওই গোলেই ভিতোরিয়ার মাঠ থেকে ২-১ গোলের জয় পায় পোর্তো। বর্ণবাদের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রবের্তো ডি সুসা ও প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কোস্তা।