মুক্ত বাতাসে ভালো লাগছে জামালের

1b5e4a8163eecbda621cc4bb2271158c-5c98e83004fbeমাঠে নেই খেলা, করোনাভাইরাসের আতঙ্কে ক্লাব ভবনে বেশিরভাগ সময় কাটাতে হয়েছিল বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে। সুযোগ মিলতেই ‘বন্দিত্ব’ কাটিয়ে এখন মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস ছাড়ছেন সাইফ স্পোর্টিংয়ে মিডফিল্ডার। জন্মস্থান ডেনমার্কে ফিরে গেছেন তিনি। পরিবারের সঙ্গ পেয়ে স্বস্তি ফিরে এসেছে মনে।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হওয়ায় গত মঙ্গলবার জামাল থাই এয়ারওয়েজে ডেনমার্কে ফিরেছেন। করোনা সংক্রমিত বেশিরভাগ দেশে বিদেশফেরত নাগরিকদের জন্য বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টিন থাকলেও ডেনমার্ক ব্যতিক্রম। তাদের দেশে কোয়ারেন্টিন শিথিল। গুরুতর সংক্রমিত দেশ থেকে এলেই কেবল বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে যেতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ আছে কম সংক্রমণের তালিকায়। এখানে ৪৮ জন করোনা আক্রান্ত, মারা গেছে ৫ জন। তাই জামাল ফিরলেও বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে যেতে হচ্ছে না জামালকে। যদিও ডেনমার্কের অবস্থা বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ। সেখানে ১,৮৭৭ জন করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের। সংক্রমণ রুকতে দেশটিতে চলছে লকডাউন, দুই সপ্তাহ বাসায় থাকতে বলা হয়েছে। জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে যাওয়া নিষেধ।

এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতেও কোপেনহেগেনের বিমানবন্দর থেকে বাসায় গেছেন স্বাচ্ছন্দ্যে। এক ফাঁকে বাসার কাছের মাঠে গেছেন। ফাঁকা মাঠে দুই-একজন বল নিয়ে খেলছিল। খেলতে পারেননি জামাল। কিন্তু ঘরে তো বন্দী থাকতে হচ্ছে না, এটাই তার স্বস্তি। কোপেনহেগেন থেকে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আমাকে হোম কোয়ারেন্টিন কিংবা আইসোলেশেনে থাকতে হচ্ছে না। তবে সতর্ক থাকতে হচ্ছে।’

বাবা-মার কাছে ফিরে খুশি জামাল। তার স্ত্রীও জার্মানি থেকে চলে এসেছেন। আবার কবে মাঠে নামবেন, সেটা জানেন না জামাল। এই অনিশ্চয়তার মাঝেও পরিবারকে তো কাছে পাচ্ছেন। আর কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে না এটাও তো বড় পাওয়া, ‘কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে না। আমার খুব ভালো লাগছে।’