ফিটনেস ধরে রাখাই এখন মূল চ্যালেঞ্জ

বাড়িতে ফিটনেস ধরে রাখার কাজ করে যাচ্ছেন তপু বর্মণপ্রিমিয়ার ফুটবল লিগ চলার সময় খেলোয়াড়দের ফিটনেস ছিল তুঙ্গে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফিটনেস ধরে রাখাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় খেলোয়াড়েরা যে যার বাড়িতে চলে গেছেন। কাটাতে হচ্ছে ‘বন্দি’ জীবন। এরপরও ফিটনেসে যেন ঘাটতি না পড়ে, সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছেন সবাই।
ক্লাবে যেমন অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা থাকে, স্বভাবতই বাড়িতে সেগুলো নেই। তাই ফিট থাকতে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টাই ভরসা তপু-জীবনদের।
নারায়ণগঞ্জে বাড়ি বসুন্ধরা কিংসের তপু বর্মণের। বাসার মধ্যে ও আশপাশের জায়গায় অনুশীলন করে ফিটনেস ধরে রাখার অভিযানে এই ডিফেন্ডার, ‘ক্লাবে আমরা যেভবে অনুশীলন করি, তা বাসায় সম্ভব নয়। তবে নিজেকে ফিট রাখার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। ট্রেনিংয়ের মধ্যে আছি। সাইক্লিং, জগিং, বালির মধ্যে রানিং করে ফিটনেস ধরে রাখার চেষ্টা করছি।’
করোনার কারণে ঘরের বাইরে প্রয়োজন ছাড়া যাওয়া নিষেধ। তপুও যাচ্ছেন না, তবে কিছু সময়ের জন্য সতর্কতার সঙ্গে হাজারিবাগের বাসার পাশে দৌড়ের কাজটা সারছেন, ‘করোনার কারণে ঘরের বাইরে সেভাবে যাচ্ছি না। তবে যখন লোকজন থাকে না তখন শুধু রানিং করে আসি। মাস্ক পরা থাকে। সব রকমের সতর্কতা অবলম্বন করেই অনুশীলন করছি।’
আবাহনী স্ট্রাইকার নাবীব নেওয়াজ জীবন ঘরেই ফিটনেস নিয়ে কাজ করছেন, ‘করোনার কারণে এখন সবকিছু বন্ধ। কখন কী হয়ে যায়। তবে আমরা সতর্ক হয়ে চলাফেরা করছি। ফিটনেস নিয়ে কাজও হচ্ছে। সীমাবদ্ধতার মধ্যে যতটুকু সম্ভব নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করছি, যেন লিগ শুরু হলে ফিট হয়েই খেলতে পারি।’
শেখ রাসেল গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম রানা ফিটনেস নিয়ে সবসময় সচেতন। ঘরে বসে তিনিও ফিটনেস নিয়ে কাজ করছেন। যদিও কাজটা সহজ হচ্ছে না তার জন্য, ‘ঘরে বসে থেকে ফিটনেস ধরে রাখা কঠিনই বলব আমি। তারপরও ফিটনেস ধরে রাখতে যতটা পারি চেষ্টা করছি। হালকা অনুশীলন, রানিং এগুলো করছি নিয়মিত। লিগ ফের শুরু হলে ফিট হয়েই পোস্টের নিচে দাঁড়াতে চাই।’
অন্যরাও কম যাচ্ছেন না। রায়হান, সোহেল রানা, সুশান্ত, সাদ উদ্দিনদের মতো খেলোয়াড়েরা যে যার বাড়িতে কিংবা বাড়ির আশপাশে গিয়ে নিজেকে ফিট রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আর না করে উপায়ও বা কী। ফিটনেস কমলে যে জরিমানা দিতে হবে! শুধু ক্লাব নয়, জাতীয় দলের কোচ জেমি ডেরও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি তাদের ওপরে।