নিজের ওপরই সন্দেহ জেগেছিল নেইমারের

নেইমার-২চোট মাঠে থাকতেই দিচ্ছিল না তাকে! আরও বেশি ভেঙে পড়ছিলেন মৌসুমের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে খেলতে না পারায়। মানসিক যন্ত্রণায় পোড়া নেইমারের নিজের ওপর থেকে বিশ্বাস কমতে শুরু করে, মনে সন্দেহ জন্মে- আবার সেরাটা নিয়ে মাঠে ফিরতে পারবেন কিনা। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নিজেই জানিয়েছেন সেই কঠিন সময়ের কথা।

সান্তোস থেকে বার্সেলোনায় যোগ দিয়ে স্মরণীয় চারটি মৌসুম কাটিয়েছেন তিনি। কাতালানদের জার্সিতে আট শিরোপা জয়ের পথে করেছেন ১০৩ গোল। আছে দুই লা লিগার সঙ্গে একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার সুখস্মৃতিও। কিন্তু ২০১৭ সালের গ্রীষ্মে হঠাৎই ফুটবল বিশ্বকে অবাক করে ২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিশ্বরেকর্ড গড়ে নেইমার পাড়ি জমান প্যারিস সেন্ত জার্মেইয়ে।

কিন্তু যে স্বপ্ন নিয়ে প্যারিসে এলেন, তা তো হলোই না, উল্টো চোট ও মাঠের বাইরের নানা বিতর্কে ক্যারিয়ারই পড়ে যায় হুমকির মুখে! একের পর এক চোট হানা দিতে থাকে শরীরে। মাঠের বাইরে ছিটকে যাচ্ছিলেন লম্বা সময়ের জন্য। পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার স্বপ্ন থাকলেও প্রথম দুই মৌসুমে শেষ ষোলোতে খেলতেই পারেননি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড, প্যারিসের ক্লাবটিতেও থামতে হয় এই রাউন্ডে।

এবার শেষ ষোলোতে নেইমার খেলেছেন এবং পিএসজিকে তুলেছেন কোয়ার্টার ফাইনালে। এজন্য তার তৃপ্তি আছে, কিন্তু চোটের কারণে বারবার বাইরে থাকার সময়ে আত্মবিশ্বাস হারাতে বসেছিলেন ২৮ বছর বয়সী তারকার। যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী ভোগের আবর সংস্করণে তিনি বলেছেন, ‘একজন অ্যাথলেটের কাছে চোটের চেয়ে খারাপ কিছু হতে পারে না। গত দুই মৌসুমে আমি ভীষণ ভুগেছি (চোটে)। একটা সময় নিজের ওপর সন্দেহও জেগেছিল আমার।’

এ বছরের জানুয়ারিতে মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গেছেন বাস্কেটবল কিংবদন্তি কোবি ব্রায়ান্ট। আমেরিকান তারকার মৃত্যু ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছিল নেইমারের মনকে, ‘তার মৃত্যু আমাকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করেছিল। কারণ আমাদের জীবনযাপন প্রায় একই। যখন একজন মানুষের সঙ্গে খেলার বাইরে অন্য সম্পর্ক থাকে, তখন খারাপ লাগাটা আরও বেশি কাজ করে। কোবির ক্ষেত্রে আমার বিষয়টা তেমনই। ক্রীড়াঙ্গন ও সমাজ অসাধারণ এক মানুষকে হারিয়েছে।’