করোনাভাইরাস: সেরে উঠেছেন মালদিনি ও তার ছেলে

পাওলো মালদিনি (বাঁয়ে) ও তার ছেলে দানি মালদিনিদিনতিনেক আগে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেয়েছেন ফিওরেন্তিনার তিন খেলোয়াড়। ইতালিয়ান ফুটবলে মিললো আরও খুশির খবর। গত মাসে পরীক্ষায় ‘পজিটিভ’ হওয়া পাওলো মালদিনি ও তার ছেলে দানির সেরে ওঠার খরর দিয়েছে ইতালির নামি ক্রীড়াদৈনিক লা গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ত

করোনাভাইরাসে বিপর‌্যস্ত ইতালি। প্রাণঘাতী ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে ইউরোপের এই দেশটিতে। যুক্তরাষ্ট্র ও স্পেনের আগে আক্রান্তের সংখ্যাতেও ওপরে ছিল ইতালি। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেশটির শীর্ষ ঘরোয়া লিগ সিরি ‘আ’। এরপরও খেলোয়াড়দের সুরক্ষিত রাখা যায়নি। অনেক ফুটবলারই আক্রান্ত হয়েছেন কোভিড-১৯ রোগে। যার মধ্যে মিলান কিংবদন্তি মালদিনিও আছেন।

গত মাসে মালদিনির সঙ্গে তার ছেলের শরীরেও করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এরপর দুজনেই ছিলেন হোম কোয়ারেন্টিনে। দানির সেরে ওঠার খবর গত সপ্তাহেই পাওয়া গিয়েছিল। আর গতকাল (বুধবার) মালদিনির করোনা থেকে মুক্তির খবর দিয়েছে লা গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ত। মিলান অবশ্য এ বিষয়ে এখনও কিছু নিশ্চিত করেনি।

ক্যারিয়ারের পুরোটা সময়ই কাটিয়েছেন তিনি এসি মিলানে। ফুটবল ছাড়লেও মিলানের ক্লাবটি ছাড়েননি মালদিনি। সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ডিফেন্ডার এখন সামলাচ্ছেন রোজোনেরিদের টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের পদের দায়িত্ব। করোনা থেকে সেরে ওঠার পর শিগগিরই নাকি তিনি কাজে ফিরছেন। ইতালিয়ান ক্রীড়া দৈনিকটির খবর, আপাতত ঘরে থেকেই মিলানের কাজকর্ম দেখবেন ৫১ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি ডিফেন্ডার।

তার ১৮ বছর বয়সী ছেলে দানি চলতি মৌসুমেই মিলানের মূল দলে সুযোগ পেয়েছেন। করোনার থাবা থেকে মুক্তি মিলেছে অ্যাকাটিং মিডফিল্ডার পজিশনে খেলা এই তরুণের। বয়স কম হওয়ায় তাকে নিয়ে খুব একটা শঙ্কা ছিল না, তবে মালদিনিকে নিয়ে ভয় ছিল। যদিও ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যমটি খুশির খবরই দিয়েছে ইতালির সঙ্গে গোটা ফুটবল বিশ্বকে।