চোটে অবসরের কথা ভেবেছিলেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার

জুভেন্টাসের ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার দগলাস কোস্তাক্যারিয়ারের শুরু থেকে চোট পিছু লেগে আছে তার। ম্যাচের পর ম্যাচ কাটাতে হয়েছে মাঠের বাইরে। কিন্তু আবেগ আর ইচ্ছাশক্তি দিয়ে ফিরে আবারও নিজেকে প্রমাণ করেছেন দগলাস কোস্তা। তবে হতাশা যে গ্রাস করেনি, তা নয়। বারবার চোটের থাবায় অবসরের ভাবনাও এসেছিল ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারের মনে!

ইউক্রেনের ক্লাব শাখতার দনেৎস্ক দিয়ে ফুটবল বিশ্বের নজরে পড়া কোস্তা ২০১৫ সালে নাম লিখিয়েছিলেন বায়ার্ন মিউনিখে। তিন বছরের ব্যাভারিয়ান ক্যারিয়ার শেষে ২০১৮ সালে স্থায়ী হয়েছেন জুভেন্টাসে, আগে এক বছর ধারে খেলেছেন ইতালিয়ান ক্লাবটিতে। দারুণ সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারের পথে বারবারই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চোট। তাই অনেকেই বলে থাকেন, ‘ইনজুরি সেরা কোস্তাকে দেখতে দেয়নি’।

কথাটা শুনলে আরও বেশি খারাপ লাগে ২৯ বছর বয়সী উইঙ্গারের। এবারের মৌসুমের কথাই ধরা যাক, করোনাভাইরাসের কারণে মার্চে বন্ধ হয়ে যায় ইউরোপিয়ান ফুটবল, তার আগে তিন দফা মাঠের বাইরে গিয়ে মিস করেছেন ১৭ ম্যাচ। ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় হ্যামস্ট্রিং ও কাফ সমস্যায় ভোগা ব্রাজিলিয়ান তারকা অবসরের চিন্তা পর্যন্ত করেছিলেন। সেই গল্পই তিনি শুনেয়েছেন দ্য প্লেয়ার্স ট্রিবিউনে

“এমন একটা সময় এসেছিল যখন আমার মনে হয়েছিল, ‘আমি কি আর খেলতে পারব?’ এটা মনে হওয়ার কারণ ছিল আমি মাঠের বাইরে ছিটকে যাচ্ছি, ফিরে এসে আবারও চোটে পড়ছি। এরপর যখন টিভি দেখলাম, তখন আমার ফুটবল নিয়ে আবেগের কথা মনে পড়লো। আর এই কারণেই এখনও আমি সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলে যাচ্ছি।’- অবসর ভাবনা নিয়ে বলেছেন কোস্তা।

চোট নিয়ে রসিকতাও করেছেন তিনি, ‘কঠিন ওই সময়টাতে ভালো থাকতে হলে নিজেকে উপভোগ করতে হবে এবং মজার কিছু করতে হবে। এটাই আমার লক্ষ্য থাকে। আমি (ব্রাজিল ও জুভেন্টাস সতীর্থ) অ্যালেক্স সান্দ্রোকে মজা করে বলেছিলাম, ম্যাচ খেলার চেয়ে বেশিবার স্ক্যান করাতে হয়েছে আমাকে।’

এরপরও একটা সময় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন কোস্তা। কঠিন সময় কাটিয়ে উঠতে ‘মেন্টাল কোচ’ নিয়োগ দিয়েছিলেন জুভেন্টাস উইঙ্গার, “যতবার আমি চোটে পড়েছি, নিজেকে প্রশ্ন করেছি, ‘আমি কি ভুল করছি?’ অবাক হতাম, কেন আমি ধারাবাহিক খেলতে পারছি না। এরপর আমি সাহায্য চাইলাম। জানি না আপনারা মেন্টাল কোচের কথা শুনেছেন কিনা। তারা মনস্তত্ত্বিক নন, তবে তারা সামনে তুলে ধরে শৈশবের বিষয়গুলো আজও কিভাবে আপনাকে প্রভাবিত করে।”