ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে শিরোপার আরও কাছে বায়ার্ন

জয়ের পর বায়ার্ন স্ট্রাইকার রবার্ত লেভানদভস্কিশীর্ষ ও দ্বিতীয় স্থানের ব্যবধান ৪ পয়েন্টের। শীর্ষে থাকা বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে জিততে পারলে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ব্যবধান কমিয়ে আনবে ১ পয়েন্টে। তাতে বুন্দেসলিগা হয়ে উঠবে আবারও জমজমাট। অন্যদিকে বায়ার্ন জিতলে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে গিয়ে শিরোপার গতিপথ একরকম এঁকেই ফেলবে। উত্তেজনার ডালি সাজিয়ে তাই হাজির হয়েছিল এবারের ‘ডের ক্লাসিকের’। সিগনাল ইডুনা পার্কের বারুদে উত্তেজনার যে ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতে শিরোপার আরও কাছে বায়ার্ন।

ঘরের মাঠেও ব্যাভারিয়ানদের আটকাতে পারেনি ডর্টমুন্ড। করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ লিগ পুনরায় শুরু হলেও দর্শক-সমর্থন পাচ্ছে না স্বাগতিক দল। ডর্টমুন্ডকেও ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলতে হয়েছে বায়ার্নের বিপক্ষে। দাপুটে পারফরম্যান্সে করোনা পরবর্তী লিগ শুরু করলেও সেটা ধরতে পারলো না। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই প্রথম হারের মুখ দেখলো তারা।

এবার চ্যাম্পিয়ন বায়ার্নকে ভালোমতোই চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছিল বরুসিয়া। তাছাড়া তাদের মুখোমুখি লড়াই এমনিতেই সবসময় রোমাঞ্চকর। মঙ্গলবার রাতেও উত্তেজনার কমতি ছিল না। উপভোগ্য এক ম্যাচ প্রদর্শিত হয়েছে সিগনাল ইডুনা পার্কে। সমান তালে লড়াই চালিয়েছে দল দুটি। বল পজেশন সমান ৫০ শতাংশ। ডর্টমুন্ডের শট ১১, বায়ার্নের ১২। আর গোলমুখে সফরকারীদের ৬ শটের বিপরীতে ডর্টমুন্ড নিয়েছে ৫ শট।

উপভোগ্য ম্যাচে পার্থক্যটা গড়ে দিয়েছেন ইয়োশুয়া কিমিচ। ৪৩ মিনিটে তার গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধে নিজেদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করলেও পারেনি বরুসিয়া। তাতে শিরোপার আশা একরকম শেষ হয়ে গেছে তাদের। সমান্তরালে শিরোপা ধরে রাখার পথে বড় লাফ দিয়েছে বায়ার্ন। ২৮ ম্যাচ শেষে বায়ার্নের পয়েন্ট ৬৪, আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডর্টমুন্ডের পয়েন্ট ৫৭।

ফুটবল বিশ্বের শীর্ষ লিগগুলোর মধ্যে সবার আগে শুরু হয়েছে বুন্দেসলিগা। মাঠে ফেরার অপেক্ষায় আছে লা লিগা। অনুশীলন চলছে ইংল্যান্ড ও ইতালিতেও।