নেইমারের জন্য নগদ ১৭৫ মিলিয়ন ইউরো চায় পিএসজি

নেইমার পিএসজিলাউতারো মার্তিনেজ এখন বার্সেলোনার এক নম্বর ‘টার্গেট’। তাই বলে নেইমারের দিক থেকে নজর সরিয়ে নেয়নি কাতালানরা। দুই তারকাকে নিয়ে এসে লিওনেল মেসির সঙ্গে শক্তিশালী আক্রমণভাগ বানানোর লক্ষ্য তাদের। কিন্তু নেইমারের আশা সম্ভবত ছেড়ে দিতে হচ্ছে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের! ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের জন্য নাকি নগদ ১৭৫ মিলিয়ন ইউরো দাবি করেছে প্যারিস সেন্ত জার্মেই!

গত গ্রীষ্মের দলবদলে নেইমারকে ফেরাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিল বার্সেলোনা। পিএসজির সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনার পরও সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি তারা। তবে আশা ছাড়েনি কাতালান ক্লাবটি, এবারের গ্রীষ্মের দলবদলে আবারও মিশনে নামার অপেক্ষায়। সেই অনুযায়ী কাজও চালিয়ে যাচ্ছে বার্সেলোনা। কিন্তু কাতালান ক্রীড়া দৈনিক স্পোর্ত যে খবর ছেপেছে, তাতে নেইমারের ফেরার সম্ভাবনা হালকা হয়ে গেছে অনেকটাই।

সংবাদমাধ্যমটি খবর, বার্সেলোনার খেলোয়াড় বদলের প্রস্তাবে সায় নেই পিএসজির। নেইমারকে বিক্রিতে ফরাসি ক্লাবটি নগদ অর্থ চায়, আর এজন্য তাদের দাবি ১৭৫ মিলিয়ন ইউরো। ২০১৭ সালে ২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিশ্বরেকর্ড গড়ে ন্যু ক্যাম্প ছেড়েই প্যারিসে পাড়ি জমান ব্রাজিলিয়ান তারকা। যদিও বার্সা ছেড়ে যাওয়ার ভুল অল্প দিনেই বুঝতে পারেন তিনি। সেই থেকে ন্যু ক্যাম্পে ফেরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ২৮ বছর বয়সী তারকা।

স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরাও গত গ্রীষ্মে চেষ্টা করেছিল নেইমারকে ঘরে ফেরানোর। এবারও আছে মিশনে। তবে করোনাভাইরাসের কারণে এবং লাউতারোকে কেনার আগ্রহ থাকায় নেইমারের জন্য খেলোয়াড় বদলের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে পিএসজির কাছে। যদিও ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের তাতে আগ্রহ নেই। তারা ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের জন্য নগদ অর্থই নাকি চাইছে।

বার্সেলোনা নেইমারের বদলে তাদের দিতে চাইছে ফ্রান্সের তিন খেলোয়াড়- আঁতোয়া গ্রিজমান, স্যামুয়েল উমতিতি ও উসমান ডেম্বেলের মতো খেলোয়াড়কে। কিন্তু পিএসজি চাইছে নেইমারকে বিক্রি করে পাওয়া নগদ অর্থ দিয়ে নিজেদের পছন্দের খেলোয়াড় কিনতে।

স্পোর্তের খবর ঠিক হলে নেইমারের বার্সেলোনায় ফেরার পথ কঠিন হয়ে উঠলো। কারণ লাউতারোর জন্য কাতালানরা মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করতে প্রস্তুত। তবে নেইমারের ক্ষেত্রে কেবল খেলোয়াড় বদলের বিষয়টি নিয়েই ভাবছে কাতালানরা। এই অবস্থায় নেইমারের ন্যু ক্যাম্পে ফেরা নির্ভর করছে দুটো বিষয়ের ওপর: এক-পিএসজির ওপর নেইমারের চাপ প্রয়োগ, দুই- পিএসজির বার্সেলোনার দেওয়া খেলোয়াড় বদলের প্রস্তাব গ্রহণ।