ফুটবলে বাংলাদেশ-ভারতের কোনও পার্থক্য দেখেন না তপু

বাংলাদেশ ডিফেন্ডার তপু বর্মণবিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের সামনে কঠিন পরীক্ষা। অপেক্ষা করতে আফগানিস্তান, ভারত, ওমান ও কাতারের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তবে আশার কথা হলো, চার ম্যাচের তিনটিই হবে ঘরের মাঠে। আফগানিস্তান, ভারত ও ওমানের বিপক্ষে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা খেলবে সিলেটে। শুধু কাতারের বিপক্ষে ম্যাচটি হবে দোহাতে। বাছাইয়ের এই চার ম্যাচেই ভালো করার আশা ডিফেন্ডার তপু বর্মণের।

করোনাভাইরাস বিরতির পর আগামী ৮ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকায় আগস্টের প্রথম দিক থেকে ক্যাম্প শুরু করতে যাচ্ছে জাতীয় দল। নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে তপু বলেছেন, ‘আমরা তিন মাসের বেশি সময় ধরে অনুশীলনের বাইরে আছি। আশা করছি আগস্ট মাসে আমাদের ক্যাম্পটি শুরু হবে এবং আমরা তৈরি হওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় পাবো।’

হোম ম্যাচ থেকে বাড়তি সুবিধা নিতে চাইছেন এই ডিফেন্ডার, ‘হোম ম্যাচ হওয়ার কারণে আমরা কিছু অতিরিক্ত সুবিধা পাবো। তাজিকিস্তানে আফগানিস্তানের সঙ্গে আমরা ভালো খেলেছিলাম, যদিও শেষ মুহূর্তে এক গোলে হেরে গিয়েছিলাম। কিন্তু দলগত পারফরম্যান্সের কথা তুলনা করতে হলে আমরা তাদের চেয়ে এগিয়ে থাকবো। আমরা দেশের বাইরের ম্যাচগুলোতে ভালো খেলেছি। তাই আশা করছি হোম ম্যাচেও ভালো করবো। ইতিবাচক ফলই হবে।’

ভারতের বিপক্ষে কলকাতার ম্যাচে এগিয়ে থেকেও ড্র করতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। তপু মনে করছেন, নিজেদের মাঠে এবার আরও ভালো লড়াই করতে পারবে তারা, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে ওদের হোম ম্যাচে জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়ে ড্র করেছিলাম। সেখানে তাদের বিপক্ষে ভালো খেলাটা এবার ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। আমরা ওদের সম্পর্কে জানি, ওদের বিপক্ষে খেলেছি। আমি ভারতের সঙ্গে আমাদের কোনও পার্থক্য খুঁজে পাইনি। আমরা দুদলই সমান অবস্থানে রয়েছি। এর পাশাপাশি হোম ম্যাচের অতিরিক্ত সুবিধা তো থাকছেই।’

ওমান ম্যাচ নিয়েও আশাবাদী তপু। যদিও মাস্কটের ম্যাচে বাংলাদেশ ৪-১ গোলে হেরেছিল। তপু বলছেন, ‘ওমান শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। আমরা তাদের মাটিতে ৪-১ গোলে হেরে যাই। আমি মনে করি, সেটিই ছিল বাছাইয়ে সব থেকে কঠিন ম্যাচ। এবার ওমানের বিপক্ষে দলের সবাই ভালো খেলার চেষ্টা করবো। আমি মনে করি, তাদের বিপক্ষে দলগতভাবে ভালো খেলতে পারলে ভালো ফল হবে।’