বার্সেলোনার অনুশীলন মাঠ ইয়োহান ক্রুইফ স্টেডিয়ামে আগের ম্যাচের মতোই ৪-২-৩-১ ছকে দল সাজিয়েছিলেন নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যান। নতুন মৌসুমের জন্য ডাচ কোচ যে আক্রমণাত্মক দল সাজাচ্ছেন, দুই প্রস্তুতি ম্যাচে সেটারই ইঙ্গিত। বায়ার্ন মিউনিখের ধারের সময় শেষ করে ন্যু ক্যাম্পে ফেরা ফিলিপে কুতিনিয়োকে বেশ ভালোভাবেই আমলে নিচ্ছেন কোম্যান। ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারও আস্থার জবাব দিচ্ছেন দারুণভাবে। প্রস্তুতির দুই ম্যাচেই গোল পেয়েছেন তিনি।
এই কুতিনিয়োর গোলেই ২১তম মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। আর গোলটির উৎস মেসি। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের চমৎকার পাস বক্সের ভেতর নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ক্রস করেন দলের নতুন সদস্য ত্রিনকাও। একেবারে ফাঁকা পোস্ট পেয়ে বল জালে জড়াতে কোনও অসুবিধাই হয়নি সাবেক লিভারপুল তারকার।
এরপর বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে ব্যবধান দ্বিগুণ করে কাতালানরা মেসির গোলে। ডি বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের শটে ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী করেছেন দেখার মতো এক গোল। হ্যাঁ, ডান পায়েই গোল করেছেন তিনি। বাঁ প্রান্ত থেকে বক্সের বেশ খানিকটা বাইরে থেকে বাঁকানো শটে অবাক করা এক গোল করেছেন বার্সা অধিনায়ক।
বিরতির পর ঘুরে এসেই এক গোল শোধ করে দেয় জিরোনা। স্কোরশিটে নাম তোলেন স্যামুয়েল সাইজ। যদিও খানিক পরই আবার ব্যবধান বাড়ায় বার্সেলোনা মেসির দ্বিতীয় গোলে। এবার ডান প্রান্ত থেকে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া তার শট জিরোনার এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে দিক পাল্টে জড়িয়ে যায় জালে।
নতুন মৌসুম শুরুর আগে বোর্ডের সঙ্গে দ্বন্দ্ব একপাশে ঠেলে পুরনো মেসিকেই পাওয়া গেলো প্রস্তুতি ম্যাচটিকে। লা লিগার নতুন মৌসুম শুরুর আগে প্রস্তুতির জন্য আরেকটি ম্যাচ পাচ্ছেন মেসি ও বার্সেলোনা। শনিবার জোয়ান গাম্পার ট্রফিতে তাদের প্রতিপক্ষ এলচে।