হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে প্রায় একাই বিশ্বকাপ জেতানো ম্যারাডোনা। মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়েছিল তার। হাসপাতাল ছেড়ে ফিরেছিলেন নিজ বাড়িতে। কে জানতো, পৃথিবীতে তার জন্য অপেক্ষা করছিল আর কয়েকটা দিন। মাত্র ৬০ বছর বয়সে কোটি ফুটবলভক্তকে কাঁদিয়ে অন্য পারের বাসিন্দা হলেন বাঁ পায়ে অসংখ্য মুহূর্তের জন্ম দেওয়া ফুটবল ঈশ্বর।
পেলেকেও ছুঁয়ে গেছে তার মৃত্যু। ব্রাজিলের জার্সিতে তিনবার বিশ্বকাপ জেতা ‘ফুটবলের রাজা’ টুইটে শোক প্রকাশ করেছেন। পেলের টুইট, ‘কী খারাপ সংবাদ! ফুটবল হারালো একজন কিংবদন্তিকে, আর আমি হারালাম একজন বন্ধুকে। অনেক কিছুই বলার আছে, আপাতত সমবেদনা তার পরিবারের সদস্যদের।’
২০ বছরের ছোট ম্যারাডোনা আগেই ছেড়ে গেলেন পৃথিবী। দুইজন দুই প্রজন্মের হওয়ার মাঠের লড়াইয়ে দেখা হয়নি তাদের। তবে স্বর্গে গিয়ে ঠিকই ম্যারাডোনার সঙ্গে খেলতে চান পেলে, ‘আর আশা করছি, একদিন আমরা স্বর্গে একসঙ্গে ফুটবল খেলবো।’