লিগ শিরোপায় পাখির চোখ আবাহনীর

আবাহনীর অনুশীলনবসুন্ধরা কিংসের কাছে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা হারিয়েছে আবাহনী। করোনাভাইরাসের কারণে গত মৌসুম পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে আসছে মৌসুমে নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়তে চায় আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। লক্ষ্য, লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধার।

সেই লক্ষ্যে মারিও লেমসের দল প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে। শুধু লিগ নয়, ফেডারশন কাপ ও স্বাধীনতা দিবস ট্রফির দিকেও চোখ তাদের। এছাড়া এএফসি কাপ তো আছেই। বলতে গেলে সব প্রতিযোগিতাতে পাখির চোখ রেখে এগিয়ে যেতে চাইছে দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী দলটি।

এরই মধ্যে উঁচুমানের বিদেশি ফুটবলার এনেছে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (আইএসএল) খেলা ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রাফায়েল অগাস্তোকে দেখা যাবে ঢাকার মাঠে। সঙ্গে আছে তার স্বদেশি স্ট্রাইকার তোরেস,  দিনকয়েকের মধ্যে তিনি যোগ দেবেন আকাশি-নীল শিবিরে।

এছাড়া পরীক্ষিত ফরোয়ার্ড হাইতির কেরভেন্স বেলফোর্ট ও আফগানিস্তানের ডিফেন্ডার মাসিহ সাইগানি তো আছেনই। আর আগের সব খেলোয়াড়কে ধরে রেখেছে আবাহনী।

প্রধান কোচ লেমসের অধীনে আবাহনী প্রথমবারের মতো এএফসি কাপের জোনাল সেমিফাইনালে খেলেছে। যদিও গতবার গ্রুপ পর্বে ওঠার আগেই বিদায় নিতে হয়েছে।

লেমস আগের অভিজ্ঞতা থেকে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আমাদের দলটি ভালো। যারা আছে তাদের অনেক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। সবার মধ্যে সমন্বয়টা ভালোভাবে গড়ে উঠলেই আমরা ভালো করতে পারবো। অবশ্যই আমরা ঘরোয়া ফুটবলের সব ট্রফি জিততে চাই। এছাড়া এএফসি কাপে আগের মতো সাফল্য চাই।’

মামুনুল-রায়হান-সাদ-জীবনদের নিয়ে গড়া দলটি অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছে। লেমসের আশা, ভালো কিছুই অপেক্ষা করছে, ‘এবারও কয়েকটি দল আছে যারা শিরোপা লড়াইয়ে থাকবে। তাদের বিপক্ষে লড়াই করেই আমাদের টিকে থাকতে হবে। ট্রফি জয়ের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আমি মনে করি, আমাদের দলে সেই শক্তি আছে। বিদেশিরা আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। এখন মাঠে সাফল্য পেলেই হয়।’

আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিত দাশ রুপুও আশাবাদী, ‘আবাহনী সবসময় শিরোপার জন্য দল গড়ে থাকে। এবারও তাই হয়েছে। আমরা সবকটি প্রতিযোগিতাতে ভালো করতে চাই। যেন ট্রফি আসে।’

আবাহনী নিবন্ধনের শেষ দিনে ৩০ জন খেলোয়াড়ের নাম জমা দিয়েছে। এছাড়া অন্য ক্লাবগুলোও নিজেদের নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে।