রিয়াল মাদ্রিদকে বিদায় করে ফাইনালে চেলসি

অভিজ্ঞ সের্হিয়ো রামোস চোট কাটিয়ে অনেক দিন পর ম্যাচে ফিরেছেন। তার ফেরাতে রিয়াল মাদ্রিদের রক্ষণ আরও জমাট হওয়ার কথা। কিন্তু মাঠের লড়াই যে সেই কথা বলেনি। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে এসে রিয়াল পেরে উঠেনি চেলসির সঙ্গে। নিজেদের মাঠে রিয়ালকে ২-০ গোলে হারিয়ে চেলসি ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। এই জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চেলসি ৯ বছর পর ফাইনালের দেখা পেলো। দুই লেগ মিলিয়ে টমাস টুখেলের দল ৩-১ গোলে এগিয়ে থেকে এখন ট্রফি ছোঁয়া দূরত্বে।

এখন আবারও এক মৌসুম পর অল ইংলিশ ক্লাব ফাইনাল হতে যাচ্ছে। আগামী ২৯ মে ফাইনালে ট্রফির জন্য ইস্তাম্বুলে ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে চেলসি।

২০১৮ সালের পর আর রিয়াল মাদ্রিদ আর ফাইনাল খেলতে পারেনি। অথচ এর আগে ১৬ বার ফাইনাল খেলেছে। জিতেছে ১৩ বার। রানার্সআপ তিনবার। বিপরীতে চেলসি মাত্র দুবার উঠে একবার ট্রফি জিতেছিল। তাও সেটা ২০১২ সালে। এবার টুখেল দায়িত্ব নিয়েই ব্লুজদের ফাইনালে পৌঁছে দিলেন।

বুধবার রাতে লন্ডনের স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে রিয়াল মাদ্রিদ বল দখলে এগিয়ে থাকলেও চেলসির গোলকিপারকে শুরুতে বড় পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি। বরং চেলসি ১১ মিনিটে প্রথম সুযোগ থেকে গোল প্রায়ই যাচ্ছিল। কিন্তু রুডিগারের জোরালো শট কোর্তোয়া ফিরিয়ে দেন। একটু পর চেলসির আরও একটি গোলের প্রচেষ্টা কোর্তোয়া নস্যাৎ করে দেন পা বাড়িয়ে।

আর ১৮ মিনিটে চেলসির দুর্ভাগ্য। টিমো ভার্নারের প্লেসিং জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে গোল হয়নি। রিয়াল অবশ্য ২৬ মিনিটে চেলসির গোলকিপার মেন্ডির বড় পরীক্ষা নিয়েছে। সেই পরীক্ষায় সেনেগালের গোলকিপার উৎরে গেছেন। বক্সের বাইরে থেকে বেনজেমার জোরালো শট গোলকিপার এডওয়ার্ড মেন্ডি ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে ফিরিয়ে গোল হতে দেননি।

দুই মিনিট পর অবশ্য চেলসি এগিয়ে যায়। হাবার্জের শট ক্রস বারে লেগে ফিরে আসে, ফিরতি বলে টিমো ভার্নার একেবারে সামনে থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন।

গোল শোধে ৩৫ মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদ সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু বেনজেমার হেড গোলকিপার কোনোমতে প্রতিহত করেনি।

বিরতির পর চেলসি আরও উজ্জীবিত হয়ে খেলেছে। রিয়ালকে সেভাবে সুযোগই দেয়নি। একের পর এক আক্রমণ গড়ে জিনেদিন জিদানের রক্ষণকে চাপে রেখেছে। তবে রিয়ালের গোলকিপার কোর্তোয়া অবশ্য বেশি গোল খেতে দেননি।

৪৭ মিনিটে চেলসির হাবার্জের শট ক্রস বারে লেগে প্রতিহত হয়। ৫৩ মিনিটে মাউন্টের শট ক্রস বারের ওপর দিয়ে যায়। ৫৯ মিনিটে হাবার্জ গোলকিপারকে একা পেয়ে তার শরীরে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন। ৬৬ মিনিটে ভার্নারের পাসে কন্তের শট গোলকিপার কোর্তোয়া প্রতিহত করেন।

৮৫ মিনিটে অবশেষে চেলসি ব্যবধান বাড়ায়। সতীর্থের পাসে মাউন্ট ফাঁকায় গোল করে রিয়ালের বিদায় নিশ্চিত করেন। রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই তাদের উৎসব শুরু।