জামালদের বেতনের আওতায় আনার পরিকল্পনা

জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্প চলাকালীন জামাল ভূঁইয়ারা ভাতা পেয়ে আসছেন। এবার তাদের মাসিক বেতনের আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। চোট ও করোনার কারণে কাতারে যেতে না পারা ৫ ফুটবলারের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সাক্ষাতে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।

বাইরের দেশে সাধারণত জাতীয় দলের ফুটবলাররা বেতনের আওতায় থাকেন না। বাংলাদেশে এটির প্রচলনের কারণ ব্যাখ্যা দিয়ে সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘বেতন কাঠামোর মধ্যে থাকলে সবাই জাতীয় দলে খেলার প্রতি আকৃষ্ট হবে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়বে। ইউরোপে ফুটবলাররা ক্লাবে অনেক অর্থ পায়। সেই অর্থ দিয়ে প্রয়োজনে ১০০ বছর বেঁচে থাকতে পারে। ফলে জাতীয় দলে খেলে সেই অর্থে সম্মানীর প্রয়োজন হয় না। আমাদের তো সেটা নেই। এখানে যদি ওরা সপ্তাহে দুই কোটি টাকা পেতো, তাহলে বেতন কাঠামোর প্রয়োজন পড়তো না।’

এরপর সালাউদ্দিন আরও বলেছেন, ‘সবার আয় সমান নয়। জাতীয় ফুটবলারদের সামাজিক কর্মকাণ্ড, পারিবারিক অনেক ব্যয়ও রয়েছে। একটা মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ডের জন্য অবশ্যই অর্থ প্রয়োজন। আমরা বেতন কাঠামো নিয়ে এক রকম পরিকল্পনা করছি। কাতার থেকে ফেরার পর সবার সাথে বসবো।’

প্রাথমিক পরিকল্পনায় ৩০ জন ফুটবলারকে এই বেতন কাঠামোর আওতায় আনা হবে। প্রথম ১৫ জন ‘এ’ ক্যাটাগরির, পরের দশ জন থাকবেন ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ও শেষ পাঁচ জন ‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকবেন। পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে ক্যাটাগরি পরিবর্তন হবে।

বাফুফে ভবনে সভাপতির সঙ্গে সভা শেষে সিনিয়র ফুটবলার আশরাফুল ইসলাম রানা এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের বেতন কাঠামোর আওতায় আনার পরিকল্পনাটা খুবই ভালো। এতে আমরা আরও উৎসাহিত হবো। এমন কথা আমরা আগে থেকেই বলে আসছিলাম। এখন এটার বাস্তবায়ন হলে সবার জন্য ভালো হবে।’