ইউরোর ৬১ বছরের ইতিহাস পাল্টে দিলেন পোলিশ গোলকিপার

ইউরোর ৬১ বছরের ইতিহাসে আগে যা হয়নি, এবার তা হলো। পোল্যান্ডের গোলকিপার ভোজায়েক সেজনি এই প্রথম আত্মঘাতী গোল করলেন! আর এরই সঙ্গে সেন্ট পিটার্সবার্গের দর্শকরা দেখলো কোনও গোলকিপারের নিজেদের জালে বড় জড়ানোর বিরল ঘটনা। ঘটনাটি ‘ই’ গ্রুপে পোল্যান্ড-স্লোভাকিয়া ম্যাচে। এই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ১০ জন নিয়ে স্লোভাকিয়ার কাছে ২-১ গোলে হেরেছে রবার্ত লেভানদোভস্কিরা।

বড় কোনও প্রতিযোগিতায় এই প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল দল দুটি। বল দখলে রেখে পোল্যান্ড আক্রমণ কম করেনি। কিন্তু নিজেদের ব্যর্থতায় আর প্রতিপক্ষের গোলকিপারের দৃঢ়তায় ম্যাচ জিততে পারেনি তারা। বিপরীতে স্লোভাকিয়া প্রতিআক্রমণে উঠে ঠিকঠাক লক্ষ্যভেদ করে ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।

ম্যাচের শুরুতে গোল পেতে পারতো পোল্যান্ড। ৫ মিনিটে বক্সে বল পেয়ে লেভানদোভস্কি লক্ষ্যে শট নিলেও এক ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করেন।

১৮ মিনিটে স্লোভাকিয়া এগিয়ে যায়। বাঁ প্রান্ত দিয়ে দুই ডিফেন্ডারকে টপকে পোস্টে ঢুকে রবার্ট ম্যাক লক্ষ্যে শট নেন। বল পোস্টে লাগার পর গোলকিপার সেজনির শরীরে লেগে জালে জড়িয়ে যায়! ইউরো ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে জন্ম নেয় গোলকিপারের আত্মঘাতী গোলের প্রথম কোনও ঘটনার।

গোল শোধে পোলিশরা চেষ্টা করেছে। কিন্তু প্রথমার্ধে সফল হতে পারেনি। ক্রাইকোভিয়াক ও লেভানদোভস্কি সুযোগ পেয়েও সমতা ফেরাতে পারেননি।

বিরতির পর মাঠে নেমেই পোল্যান্ড  গোল পেয়েছে। ৪৬ মিনিটে পোলিশরা সমতায় ফেরে। রাইবাসের কাটব্যাক থেকে লিনেত্তি প্লেসিং করে দেন সমর্থকদের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে আনেন।

কিন্তু ৬২ মিনিটে পোল্যান্ডের দুর্ভাগ্য। ক্রাইকোভিয়াক লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। এবারের ইউরোতে প্রথম কেউ মার্চিং অর্ডার পেলেন। ১০ জনের পোলিশদের ওপর চড়াও হয় স্লোভাকিয়া।

৬৯ মিনিটে সফলও হয়েছে। সতীর্থের কর্নার তেকে স্ক্রিনিয়া ডান পায়ের জোরালো শটে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন।

এরপর পোলিশরা আবারও ম্যাচে সমতা ফেরাতে চেষ্টা করে গেছে। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় মলিন মুখেই তাদের মাঠ ছাড়তে হয়েছে।