ইংল্যান্ডকে আটকে দিলো স্কটল্যান্ড

জন স্টোনস হয়তো আক্ষেপে পুড়তে পারেন। আর একটু নিখুঁত হেড হলেই তো বল জালে জড়িয়ে যেতো! অন্তত এতে করে ইংল্যান্ডের টানা দ্বিতীয় জয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের নক আউট পর্বে উঠা নিশ্চিত হতো। কিন্তু তা হলো কই? ম্যাচজুড়ে আধিপত্য বিস্তার করে ইংল্যান্ড গোলের খাতা খুলতে পারলো না। শুক্রবার রাতে স্কটল্যান্ডের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে সাউথগেটের দলকে।

‘ডি’ গ্রুপে চেক রিপাবলিক ও ইংল্যান্ড দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট করে পেয়েছে। সমান ম্যাচে স্কটল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়া আছে এক পয়েন্ট নিয়ে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে নির্ধারণ হবে কোন দুটি দল শেষ ষোলোতে জায়গা করে নেবে।

লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড বল দখলে এগিয়ে থেকে আক্রমণ কম করেনি। রহিম স্টার্লিং-কেইন-ফোডেনরা মিলে স্কটিশদের রক্ষণকে বেশ চাপে রেখেছিল।

১১ মিনিটে ইংল্যান্ডের সামনে সুবর্ণ সুযোগ আসে। মন্টের কর্নার থেকে লাফিয়ে উঠে জন স্টোনসের নেওয়া হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসলে স্বাগতিক দর্শকদের হতাশই হতে হয়।

একটু পরই রহিম স্টার্লিং এক ডিফেন্ডারকে নাটমেগ করেছেন। সেখান থেকে বল পেয়ে মাউন্ডের প্লেসিং পোস্টের বাইরে দিয়ে গেলে গোল পাওয়া হয়নি।

ইংল্যান্ডের আক্রমণাত্মক ফুটবলের বিপরীতে স্কটিশরা সুযোগ পেয়েই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে।

২৯ মিনিটে স্কটিশরা বলার মতো ভালো সুযোগ পায়। বক্সের ভিতরে বল পেয়ে ওদোনেলের শট গোলকিপার পিকফোর্ড ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন। গোলশূন্য স্কোরলাইন রেখেই দুইদল ড্রেসিংরুমে যায়।

সেখান থেকে ফিরে ইংল্যান্ড আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু এই অর্ধেও তাদের জন্য হতাশা অপেক্ষা করছিলো। কোনওভাবেই স্কটিশদের রক্ষণ ভেদ করে গোলের যে দেখা মিলেনি।

৫৫ মিনিটে ইংল্যান্ড জেমসের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। এছাড়া কেইন বা রহিমরা মিলে কোনওভাবেই কিছু করতে পারছিলো না। অধিনায়ক কেইনের জায়গায় রাশফোর্ড নেমেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি।

বরং ৬২ মিনিটে স্কটল্যান্ড ভালো সুযোগ পেয়েছিল। সতীর্থের কর্নার থেকে ডাইকেসের শট জেমস প্রায় গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করে দলকে ম্যাচে রাখেন।

শেষ দিকে সাউথগেটের দল আক্রমণের চাপ বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। শেষ পর্যন্ত এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।