অতিরিক্ত সময়ের দুই গোলে ইতালি শেষ আটে

বল দখলের সঙ্গে আক্রমণে এগিয়ে থেকেও গোল পাচ্ছিলো না ইতালি। প্রতিপক্ষের জমাট রক্ষণ ভাঙা কঠিনই হয়ে পড়েছিল। তাই তো ডাগ আউটে রবার্তো মানচিনির উৎকণ্ঠা ছিল দেখার মতো। নির্ধারিত সময়ের খেলায় কোনও দলই গোল করতে পারেনি। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এই সময়ে এসে অবশেষে মানচিনি হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন। টাইব্রেকারে যাওয়ার আগে ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়েছে।

অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধেই দুই গোল দিয়েছে ইতালি! আর তাতেই ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে ১৯৬৮ সালের চ্যাম্পিয়নরা। শনিবার রাতে শেষ ষোলর লড়াইয়ে ইতালির কাছে ২-১ গোলে হেরে অস্ট্রিয়া বিদায় নিয়েছে। সব রোমাঞ্চ ছিল এই অতিরিক্ত সময়েই। গোল তিনটি হয়েছে এই সময়েই!

ম্যাচের ৯৫ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় চিয়েসা বাম পায়ের জোরালো ভলিতে লক্ষ্যভেদ করে ইতালিকে এগিয়ে নেন। এরপর ১০৫ মিনিটে পেসিনা কোনাকোনি শটে লক্ষ্যভেদ করে দলের নিশ্চিত করেন। আর ১১৪ মিনিটে কালাদিচ এক গোল শোধ দিয়ে অস্ট্রিয়াকে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও শেষরক্ষা করতে পারেননি।

ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ম্যাচের প্রথমার্ধে ইতালি আক্রমণে এগিয়ে ছিল। কিন্তু একের পর এক আক্রমণ গড়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারছিলো না আজ্জুরিরা।

১১ মিনিটে স্পাইনাজ্জোলার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১৬ মিনিটে বারেল্লার শট গোলকিপার পা দিয়ে রুখে দেন। ৩২ মিনিটে তো সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হয়। বক্সের বাইরে থেকে ইমোবাইলের জোরালো শট পোস্টের কানায় লেগে ফিরে আসে। ৪৩ মিনিটে স্পাইনাজ্জোলার শট পোস্টের বাইরে দিয়ে গেলে এই অর্ধে গোল পাওয়া হয়নি।

ইতালির আক্রমণাত্মক ফুটবলের বিপরীতে অস্ট্রিয়া প্রতি আক্রমণে উঠে একাধিকবার ভয় ধরানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনও আক্রমণই ইতালির গোলকিপারকে বড় পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি।

তবে বিরতির পর অস্ট্রিয়া ডিফেন্সিভ কৌশল থেকে কিছুটা বেরিয়ে আসে। গোলের সুযোগও পায় তারা। যদিও সফল হতে পারেনি। ৫২ মিনিটে আলাবার ফ্রি-কিক ক্রস বারের ওপর দিয়ে যায়। ১০ মিনিট পর সাবিটজারের শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে প্রতিহত হয়। আর অস্ট্রিয়ার দুর্ভাগ্য, আলাবার হেড থেকে হেডেই বল জালে জড়ান আরনাউটোভিচ। কিন্তু ভিএআর দেখে অফসাইডের কারণে গোলের বাঁশি বাজেনি।

ইতালি পরের অর্ধেও কম চেষ্টা করেনি। সুযোগ এসেছে। কিন্তু রবার্তো মানচিনির দল কিছুতেই গোলখড়া কাটাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময়ে এসে ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়েছে।