ফ্রান্সের কারও রাগ নেই এমবাপ্পের ওপর

ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ে ছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ধীরে ধীরে পরিণত হওয়া কিলিয়ান এমবাপ্পে এখন ফরাসিদের আরও আস্থার জায়গা। তাই টাইব্রেকারে পঞ্চম শটটা যখন তিনি নিতে এলেন, তখন আশায় বুক বাঁধা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু প্যারিস সেন্ত জার্মেই ফরোয়ার্ড জালে জড়াতে পারলেন না বল। ফল, ইউরো থেকে ফ্রান্সের বিদায়! গুরুত্বপূর্ণ পেনাল্টি মিস করলেও ফ্রান্স দলের কেউ ক্ষুব্ধ নয় এমবাপ্পের ওপর। বরং দলের মধ্যে একতা আগের মতোই আছে বলে জানিয়েছেন ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশম।

সোমবার রাতে টাইব্রেকারে সুইজারল্যান্ডের কাছে ৫-৪ গোলে হেরেছে ফ্রান্স। নির্ধারিত সময় ৩-৩ গোলে ড্র হওয়ার পর অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে স্কোরলাইন থাকে একই। ফল নিষ্পত্তির জন্য টাইব্রেকার হলে সেখানে সুইজারল্যান্ড পাঁচ শটের পাঁচটিই জালে জড়ায়। বিপরীতে ফ্রান্স প্রথম চার শট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারলেও শেষ শট মিস করেন এমবাপ্পে। এরই সঙ্গে বিদায়ঘণ্টা বেজে যায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।

এবারের ইউরোতে পরিষ্কার ফেভারিট ছিল ফ্রান্স। বিশ্বমানের খেলোয়াড়দের নিয়ে সাজানো দলের সামনে সব প্রতিপক্ষই উড়ে যাবে, ইউরো শুরুর আগে এই ছিল ভবিষ্যদ্বাণী। অথচ যাদের গোনায় ধরা হয়নি, সেই সুইজারল্যান্ডে ধরাশয়ী হয়ে শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিলো দেশমের দল। তাও আবার যেনতেন বিদায় নয়। সুইসরা ফুটবলের আসল সৌন্দর্য ফুটিয়ে নিশ্চিত হারতে যাওয়া ম্যাচ শেষ করেছে জয়ের আনন্দে।

নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ৯ মিনিট আগে ফ্রান্স এগিয়ে ছিল ৩-১ গোলে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে স্কোরলাইন ৩-৩ করে ফেলে সুইসরা এবং সব শেষে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট। এমবাপ্পের পেনাল্টি মিসই ডুবিয়েছে ফ্রান্সকে। এবারের ইউরোতে একটিও গোল না পাওয়া পিএসজি ফরোয়ার্ড যন্ত্রণায় পুড়ছেন এখন। যদিও দলের ভেতর থেকে সমর্থণই পাচ্ছেন তিনি।

কোচ দেশম জানিয়েছেন, দলের কেউ রাগ করেননি এমবাপ্পের ওপর। বুখারেস্টের ম্যাচ শেষে ফরাসি কোচ বলেছেন, “ড্রেসিং রুমে পুরো দল একত্রিত। কেউই বলছে না ‘তুমি এটা ভুল করেছো’ কিংবা ‘তুমি ওই ভুলটা করেছো।’ এমবাপ্পে ওর দায়িত্ব সম্পর্কে জানে।”

কথাটা শেষ করেই দেশম আবার বললেন, ‘হ্যাঁ, কিলিয়ান গোল করতে পারেনি (এবারের ইউরোতে), তবে আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ওর মাধ্যমেই ফল এসেছে। এরপর সে এই পেনাল্টির দায়িত্ব তুলে নিলো। (দলের) কেউই রাগ করেনি ওর ওপর।’