‘টাইব্রেকার’ জিতে ইউরোর গোল্ডেন বুট রোনালদোর

জাতীয় দলের জার্সিতে শিরোপা খরা কাটিয়েছেন লিওনেল মেসি। প্রথম সাফল্যে আবার আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথমবার কোনও টুর্নামেন্টের গোল্ডেন বুটও জিতেছেন ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ইউরো জিতেছেন গতবার, এবার আগেই বিদায় নিলেও একটা চক্র পূরণ করলেন। মেসির মতো তিনিও পর্তুগালের জার্সিতে জিতলেন প্রথম গোল্ডেন বুট।

কোনও প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ গোলদাতাকে দেওয়া হয় গোল্ডেন বুটের পুরস্কার। এবারের ইউরোতে সর্বোচ্চ ৫ গোল রোনালদোর। তবে কথা হচ্ছে, জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড শুধু একা ৫ গোল করেননি, তার সমান স্কোর চেক প্রজাতন্ত্রের পাত্রিক শিকেরও। তাহলে দুজনের সমান গোল হওয়ার পরও এককভাবে রোনালদো পুরস্কারটি জিতলেন কেন?

চেক ফরোয়ার্ডের সঙ্গে রোনালদোর গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ের মীমাংসা হয়েছে ‘টাইব্রেকারে’। সমান গোল হওয়ায় উয়েফার টেকনিক্যাল কমিটি বিবেচনায় করেছে কার অ্যাসিস্ট কতটি। আর এই জায়গাতেই পিছিয়ে পড়েছেন শিক। নিজে ৫ গোল করার সঙ্গে একটি গোলে সহায়তা করেছিলেন রোনালদো। কিন্তু শিকের কোনও অ্যাসিস্ট নেই। এই জায়গায় এগিয়ে থাকায় গোল্ডেন বুট উঠেছে রোনালদোর হাতে।

রবিবার ওয়েম্বলির ফাইনালে ইতালি ১-০ গোলে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে জিতেছে শিরোপা। ফাইনালে খেলা দুই দলের কেউই রোনালদোকে টপকাতে পারেননি। শেষ ষোলোতে বেলজিয়ামের কাছে ১-০ গোলে বিদায় নেওয়া পর্তুগালের হয়ে রোনালদোর করা ৫ গোলের তিনটিই করেছেন পেনাল্টি থেকে। বাকি দুটি এসেছে হাঙ্গেরি ও জার্মানির বিপক্ষে ওপেন প্লে থেকে।

রোনালদো ও শিকের ৫ গোলের পর চার খেলোয়াড় করেছেন ৪টি করে গোল। তারা হলেন- হ্যারি কেইন, করিম বেনজেমা, এমিল ফরসবার্গ ও রোমেলু লুকাকু।

ইউরো ২০২০-এ মাত্র চার ম্যাচে মাঠে নেমে রোনালদো খেলেছেন ৩৬০ মিনিট। সেই তুলনায় তার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ সময় মাঠে ছিলেন কেইন ও রহিম স্টার্লিংয়ের মতো খেলোয়াড়রা, যারা খেলেছেন ৬০০ মিনিটের ওপরে।