ব্রাজিলিয়ানের জোড়ায় শেখ রাসেল শেষ আটে

আগের চেয়ে শক্তিশালী দল গড়েছে শেখ রাসেল। স্থানীয়দের সঙ্গে যোগ হয়েছে পর্তুগিজ-ব্রাজিলিয়ানরা। তবুও স্বাধীনতা কাপে প্রথম ম্যাচে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছিল দলটি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে দাপট দেখিয়েই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাতে ব্রাজিলিয়ান এইলতন মাচাদোর জোড়া লক্ষ্যভেদে শেখ রাসেল ২-০ গোলে বিমান বাহিনীকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। শেখ রাসেলের নকআউট পর্ব নিশ্চিতের দিনে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেছে বিমান বাহিনী।

‘বি’ গ্রুপে দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পেয়েছে শেখ রাসেল। সমান ম্যাচে পয়েন্টের খাতা খুলতে পারেনি বিমান বাহিনী। শেষ ম্যাচে শেখ রাসেলের সঙ্গে ড্র করলেই শেখ জামালও এই গ্রুপ থেকে নকআউটে জায়গা করে নেবে।

শেখ রাসেলের জয়

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে আজ ম্যাচের শুরু থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে আক্রমণে উঠেছে শেখ জামাল। ম্যাচের প্রথমার্ধেই গোল দুটি এসেছে।

ম্যাচ শুরুর ৮ মিনিটে এগিয়ে যায় শেখ রাসেল। বক্সের বাইরে থেকে মোহাম্মদ জুয়েলের নেওয়া শট গোলকিপার মজনু মিয়া ঠিকমতো প্রতিহত করতে পারেনি, ফিরতি বলে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এইলতন মাচাদো টোকায় বল জড়িয়ে দেন জালে।

২২ মিনিটে জুয়েলের জোরালো শট প্রতিহত করেন গোলকিপার। দুই মিনিট পর অবশ্য মজনু মিয়া গোল আটকাতে পারেননি। বক্সে ঢুকে গোলকিপারের পাশ দিয়ে জাল কাঁপান এইলতন মাচাদো ডি সুজা রোজা।

শেখ রাসেলের জয়

বিরতির পরও শেখ রাসেল ম্যাচের লাগাম নিজেদের কাছেই রেখেছে। চার বিদেশি নিয়ে খেলে যদিও এই অর্ধে গোল ব্যবধান বাড়াতে পারেনি তারা।

৬০ মিনিটে শেখ রাসেলের মান্নাফ রাব্বীর কোনাকুনি শট গোলকিপার পাঞ্চ করে ফেরান। ৭২ মিনিটে এইলতন মাচাদো হ্যাটট্রিকের সুযোগ নষ্ট করেছেন। গোলমুখে তার নেওয়া শট এক ডিফেন্ডার প্রতিহত করে ব্যবধান ২-০ থেকে আর বাড়তে দেননি।