মুক্তিযোদ্ধায় সেই জাপানি এবার অন্য ভূমিকায়

তিন বছর আগে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রে খেলতে আসেন জাপানি মিডফিল্ডার ইউসুকে কাতো। এসেই ক্লাবটির সঙ্গে নানানভাবে জড়িয়ে যান। বিশেষ করে আর্থিক সংকটের সময়ে বাংলাদেশের ক্লাবটির পাশে দাঁড়িয়ে অন্যরকম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। জন্মস্থান জাপানে প্রচারণা চালিয়ে জার্সি বিক্রি করে প্রচুর অর্থ ক্লাবের ফান্ডে যোগ করেছেন। এবার সেই জাপানি ফুটবলার অন্য ভূমিকায়। ফুটবল থেকে সদ্য অবসর নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সহকারী ম্যানেজার হিসেবে কাজ শুরু করেছেন।

শুধু তা-ই নয়, মালয়েশিয়ার কোচ রাজ ইসার সঙ্গে দলের কোচিংয়েও সাহায্য করে যাচ্ছেন। ৩৫ বছর বয়সী কাতো সবসময় বলে আসছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় অসামান্য অবদান রাখা মুক্তিযোদ্ধাদের নামের দলটি ফুটবল থেকে হারিয়ে যেতে পারে না। তাই ফুটবলে যেন দলটি টিকে থাকে, সেই লক্ষ্যেই মাঠের বাইরে থেকেও সাহায্য করে যাচ্ছেন।

এই তো স্বাধীনতা কাপ দিয়ে ঘরোয়া ফুটবল শুরু হয়েছে। সহকারী ম্যানেজারের পাশাপাশি ম্যাচের আগে খেলোয়াড়দের ওয়ার্ম-আপেও নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে কাতোকে। নিজের নতুন ভূমিকা নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে কাতো বলেছেন, ‘এই দেশের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রে খেলে অবসর নিয়েছি। দলটির জন্য আমার আলাদা টান রয়েছে। আমি চাই এই দলটি যেন ফুটবলে টিকে থাকুক। সেই লক্ষ্যে অর্থ সাহায্য দিয়ে চেষ্টা করেছি পাশে থাকার জন্য। এবার অবসর নিলেও সহকারী ম্যানেজার হিসেবে নতুন করে কাজ শুরু করেছি। অন্তত মাঠের বাইরে থেকে যতদূর পারি যেন সহায়তা করতে পারি।’

কাতো আর্জেন্টিনা, চীন ও ইন্দোনেশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের ক্লাব ফুটবলে খেলেছেন। বাংলাদেশ প্রথম শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে খেলতে আসেন। আর ২০১৮ সালে মুক্তিযোদ্ধার অধিনায়ক হিসেবে খেলেন। এবার তো মাঠের ফুটবল থেকে অবসরই নিয়ে ফেলেছেন। শেষ মৌসুমে ২৩ ম্যাচে ২ গোল করেছেন। মুক্তিযোদ্ধার প্রতি আলাদা ভালোবাসার কথা জানিয়ে কাতোর বক্তব্য, ‘আমি সবসময় চাই এই ক্লাবটি ফুটবলে ভালোভাবে থাকুক। এজন্য সবার এগিয়ে আসা উচিত। যেন ক্লাবটি হারিয়ে না যায়। এতে করে বাংলাদেশের ফুটবল উপকৃত হবে।’