স্বাধীনতা সংগ্রামে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অবদান অনেক। সেই সময় ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে প্রীতি ম্যাচ খেলে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান রেখেছেন জাকারিয়া পিন্টু-কাজী সালাউদ্দিন-প্রতাপ শঙ্কর হাজরারা। স্মরণীয় এই দলকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আগেও ঘটা করে সংবর্ধনা দিয়েছে। এবার স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আবারও দলটিকে সম্মান দেখালো বাফুফে।
আজ (বুধবার) এই সংবর্ধনাতে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অনেক সদস্যই ছিলেন। অনেক দিন পর যেন মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল বাফুফে ভবন। সবাইকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন নিজেও স্বাধীন বাংলা দলের সদস্য। সংবধর্না দেওয়ার কারণ হিসেবে এই কিংবদন্তি ফুটবলার বলেছেন, ‘যে দল যুদ্ধের সময় অংশ নিয়েছিল, তাদের দাওয়াত দিয়েছি। কারণ তাদের দাওয়াত দিতে পেরে গর্ব হচ্ছে। সবাই তো আর বন্দুক দিয়ে যুদ্ধ করেনি, তাই আমাদের দায়িত্ব ছিল ফুটবল খেলা। এখনকার রোহিঙ্গাদের দেখে মনে হয় আমরা যখন কলকাতায় ছিলাম, তখন তাদের মতোই ছিলাম।’
প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল দলটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘ধন্যবাদ দিতে চাই তাদের, যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় এমন দল গঠন করেছিল, যা ছিল নজিরবিহীন। যাদের ত্যাগের কারণে স্বাধীন বাংলাদেশে বাস করতে পারছি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। যুদ্ধের সময় তারা বসে না থেকে ফুটবলের মাধ্যমে যুদ্ধ করেছে। তারা যা করেছে তা কোনও কিছু দিয়ে তুলনা করা যাবে না।’
স্বাধীন বাংলা দল ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে ১৬টি ম্যাচ খেলেছিল। ফুটবলকে স্বাধীনতা আন্দোলনের অস্ত্র বানিয়ে জনমত গঠন করা হয়েছিল। আর খেলা থেকে অর্জিত ১৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল তহবিলে।
স্বাধীন বাংলা দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু সেই সময় নিজের দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করার চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন, ‘আমার সৌভাগ্যের বিষয় যে আজ আমরা একসঙ্গে বসেছি। এমন সৌভাগ্য আমার জীবনে বহুবার এসেছে। সালাউদ্দিনকে ধন্যবাদ এমন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য। আমি অধিনায়ক হিসেবে আমার যে দায়িত্ব, সেটা পালন করার চেষ্টা করেছি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বাধীন বাংলা দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল এবং যুব ও ক্রীড়া সচিব আক্তার হোসেন।