‘মোহনবাগানকে হারানোর সামর্থ্য আছে আবাহনীর’

এএফসি কাপে প্লে-অফ পর্বে কঠিন প্রতিপক্ষ পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড। আগামী ১৯ মার্চ আকাশি-নীল জার্সিধারীরা মুখোমুখি হবে ভারতের অন্যতম জায়ান্ট এটিকে মোহনবাগানের। তবে দলটি মোহনবাগান হলেও আবাহনী কোনও ভয় পাচ্ছে না। ওপার বাংলার দলটিকে হারানোর সামর্থ্য আছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমস।

মালদ্বীপের ক্লাব ভ্যালেন্সিয়া না এলেও সিলেটে নিজেদের মতো অনুশীলন সেরেছে আবাহনী। প্রস্তুতি নিয়ে কোনও কমতি নেই ৩৫ বছর বয়সী কোচের। বরং জোরেশোরেই কলকাতায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এটিকে মোহনবাগান সম্পর্কে বাংলা ট্রিবিউনের কাছে লেমস বলেছেন, ‘মোহনবাগানের বিপক্ষে আমাদের ম্যাচটি খুব কঠিন একটা ম্যাচ হবে। ওরা খুবই ভালো দল, তাদের হারানোর সামর্থ্য আছে আমাদের। সেটা আমি বিশ্বাস করি।’

মোহনবাগানে চার বিদেশি ছাড়াও স্থানীয়দের পারফরম্যান্স চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে, সবশেষ শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টারের বিপক্ষে পারফরম্যান্স ছিল সপ্রতিভ। লেমসের উপলব্দি, ‘মোহনবাগানের প্রতিটি বিভাগই ভালো। এ নিয়ে কোনও সংশয় নেই। আমরাও কম নই। পুরো দল যদি উজ্জীবিত হয়ে খেলতে পারে তাহলে জয় সম্ভব।’

লেমসের দুর্ভাবনার জায়গা ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার দোরিয়েল্তনকে নিয়ে। চোটে জর্জরিত ৩১ বছর বয়সী তারকা। প্রিমিয়ার লিগে ৭ গোল করা স্ট্রাইকারকে কলকাতার ম্যাচে পাওয়া যাবে কিনা অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে শেষ মুহূর্তে তাকে পাওয়া না গেলে বসনিয়ার নেদো তুর্কোভিচই বড় ভরসা।

লেমস যদিও আশা ছাড়ছেন না, ‘দোরিয়েল্তনকে পাবো কিনা তা এখনও জানি না। ওর চিকিৎসা এখনও চলছে। যে পরিস্থিতি, তাতে মনে হচ্ছে ওর খেলার সম্ভাবনা ফিফটি-ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ওকে না পেলে নেদোই ভরসা থাকবে।’

মোহনবাগানের বিপক্ষে জিততে পারলেই ‘ডি’ গ্রুপে জায়গা করে নেবে আবাহনী লিমিটেড। সেখানে আগে থেকেই আছে বাংলাদেশের লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস, ভারতের গোকুলাম কেরালা এবং মালদ্বীপের মাঝিয়া স্পোর্টস ও রিক্রিয়েশন ক্লাব।