দুইবার পিছিয়ে পড়েও শেষ হাসি বসুন্ধরার

বুরুন্ডি থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রে খেলতে এসেছেন সুদি আব্দুল্লাহ। মাঠে নেমে জোড়া গোল করে নিজের জাত চেনাতে ভুল হয়নি তার। তবে দুর্ভাগ্য আক্রমণভাগের এই ফুটবলারের! ২ গোল করেও দলকে জেতাতে পারেননি। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস পিছিয়ে পড়েও বারবার ম্যাচে ফিরে এসেছে। এলিটা কিংসলে, রবিনিয়ো ও সুমন রেজার লক্ষ্যভেদে ৫ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচ জিতেছে ৩-২ ব্যবধানে। ফলে শীর্ষস্থান সুসংহত করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

আজ (শনিবার) মুন্সিগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এগিয়ে যায় ১৭ মিনিটে। মাঝমাঠ থেকে উড়ে আসা লং বল ক্লিয়ার করতে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো। কিন্তু বল দখলের লড়াইয়ে সুদি আব্দুল্লাহর সঙ্গে পেরে ওঠেননি তিনি। বুরুন্ডির এই ফরোয়ার্ডের হেড জাল খুঁজে নেয়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বসুন্ধরায় স্বস্তি ফেরে। মিগেল ফিগেইরার লব ধরে গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকা ডিফেন্ডারকে প্রতিরোধের সুযোগ না দিয়ে বাঁ পায়ের টোকায় দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন রবিনিয়ো।

বসুন্ধরাকে আবার চাপে ফেলে দেয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। ৬০ মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে একক প্রচেষ্টায় আক্রমণে ওঠা আব্দুল্লাহ গতি দিয়ে ডিফেন্ডার কেষ্ট কুমারকে পেছনে ফেলে গোলকিপার জিকোকে কাটিয়ে মুক্তিযোদ্ধাকে দ্বিতীয়বার এগিয়ে নেন।

পিছিয়ে পড়ায় একসঙ্গে চার ফরোয়ার্ড মাঠে নামান অস্কার ব্রুজন। তাতে সফলতাও আসে। ৭৩ মিনিটে আবারও ফিগেইরার একটু তুলে দেওয়া বল ধরে সাইড ভলিতে স্কোরলাইন ২-২ করেন বদলি খেলোয়াড় এলিটা কিংসলে।

১০ মিনিট পর বসুন্ধরা এগিয়ে যায়। নিজেদের অর্ধ থেকে কাজী তারিক রায়হানের লম্বা ক্রস দুই ডিফেন্ডারের ফাঁকে থাকা বদলি সুমন রেজা পাওয়ার পর ডান পায়ের কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন। বাকি সময় এই ব্যবধান ধরে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ব্রুজনের দল।

দিনের অন্য ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিং ১-০ গোলে হারিয়েছে শেখ রাসেলকে। এছাড়া একই ব্যবধানে শেখ জামালের বিপক্ষে জিতেছে পুলিশ এফসি।

১৪ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করেছে বসুন্ধরা। শেখ জামালের ২৭, সাইফের ২৪, পুলিশের ১৯, শেখ রাসেলের ১৪ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পয়েন্ট ৭।