‘ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারকে সব ম্যাচে পেলে লিগ জেতা যেত’

মৌসুমের শুরুটা কি দুর্দান্ত-ই না ছিল আবাহনীর। স্বাধীনতা কাপের পর জিতেছে ফেডারেশন কাপ। অবশ্য দুটি টুর্নামেন্ট জিততে অন্যদের সঙ্গে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার দোরিয়েল্তনের অবদান কম নয়। দুটিতেই চার গোল করে শিরোপা জেতাতে সহায়ক ভূমিকা ছিল ৩২ বছর বয়সীর। দুর্ভাগ্য যে চোটের কারণে প্রিমিয়ার লিগে এই ব্রাজিলিয়ান তারকাকে সব ম্যাচে আর পাওয়া যায়নি! তার অনুপস্থিতি বরং প্রভাব ফেলেছে ম্যাচগুলোতে। তাই দলটির পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমসের উপলব্ধি- ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারকে সব ম্যাচে পেলে হয়তো লিগের শিরোপা জেতা যেত!

এই ব্যর্থতায় হ্যাট্রটিক চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বসুন্ধরা কিংস। তাই আবাহনী লিমিটেডকে এবার রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। অথচ যেভাবে মৌসুমের শুরুটা হয়েছিল তাতে করে ট্রেবল জয়ের স্বপ্নটা মোটেই বাড়াবাড়ি ছিল না। কিন্তু কমলাপুর স্টেডিয়ামে খেলাই কাল হয় শেষ পর্যন্ত। ওই মাঠে খেলোয়াড়দের পাওয়া চোট বেশ ভুগিয়েছে পুরো দলকে।  তাই ৩৬ বছর বয়সী লেমসের আক্ষেপ, ‘দোরিয়েল্তন অনেক ম্যাচ খেলতে পারেনি। আমরা ওকে ১০টির মতো ম্যাচে পুরোপুরি পেয়েছি। বাকিগুলোতে বদলি হিসেবে খেলেছে। অনেক ম্যাচে ওর অনুপস্থিতি প্রভাবও ফেলেছে।  অথচ সব ম্যাচ না খেলেও ১৬টি গোল করেছে। তাহলে বুঝে নিন ও কেমন স্ট্রাইকার।’

ফিরতি পর্বে সাইফ স্পোর্টিংয়ের কাছে হেরেই স্বপ্ন অনেকাংশে ধূসর হয়ে যায় আবাহনীর। লেমসের এখন মনে হচ্ছে, ‘কিছু ম্যাচে আমরা পয়েন্ট হারিয়েছি। যা ঠিক হয়নি। রিজার্ভ বেঞ্চ আরও ভালো হতে পারতো। সব কিছু মিলিয়েই আসলে টাইটেল জেতা হয়নি। তবে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারকে সব ম্যাচে পেলে লিগ জেতা যেত।’

পেশাদার লিগে আবাহনী রেকর্ড ৬ বারের চ্যাম্পিয়ন। এছাড়া রানার্সআপও হয়েছে তিনবার। তবে বসুন্ধরা কিংসের আবির্ভাবের পর লিগের ট্রফি তাদের কাছে যেন সোনার হরিণ। এবার সম্ভাবনা থাকলেও জেতা গেলো না শেষ পর্যন্ত।

শুধু দোরিয়েল্তন নয়। চোটের কারণে জীবন, হৃদয়, অগাস্তোসহ অন্যদের সেবাটাও পাওয়া যায়নি ঠিকমতো। সব মিলিয়ে ম্যানেজার সত্যজিত দাশ রুপুও দাবি করলেন, ‘লিগের শুরু থেকে চোটের কারণে সব খেলোয়াড়কে পাওয়া যায়নি। গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ছাড়াই একের পর এক ম্যাচ খেলতে হয়েছে। এছাড়া কিছু ম্যাচে আমাদের বাজে দিনও গেছে। যে কারণে শেষ পর্যন্ত শিরোপা লড়াইয়ে থাকা সম্ভব হয়নি।’

এখন এই বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ঐতিহ্যবাহীদের।