‘মেয়েরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, এটা দেশের জন্য বড় পাওয়া’

দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে কাঠমান্ডু পৌঁছে শনিবার দশরথ স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছে জামাল ভূঁইয়ারা। বিকালে ঘাম ঝড়িয়ে স্থানীয় আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা। আগামী ২৭ আগস্ট ফিফা প্রীতি ম্যাচে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে জয়ের লক্ষ্য নিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করছে হাভিয়ের কাবরেরার দল।

দশরথের পাশে আর্মি হেডকোয়ার্টার মাঠের প্রস্তুতিতে মেয়েদের সাফ জেতার প্রসঙ্গও এলো। প্রথম প্রীতি ম্যাচে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে এক গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। মতিন মিয়ার দারুণ পাসে রাকিব হোসেন লক্ষ্যভেদ করেছিলেন। মতিনের ভাবনায় মেয়েদের সাফ জেতা ছাড়াও আছে নেপাল ম্যাচ নিয়ে ভাবনা,‘মেয়েরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, এটা আসলে আমাদের জন্য গর্বের। আমাদের দেশের জন্য বড় একটা পাওয়া। আমরাও প্রথম থেকে বলে আসছি, এই দুই ম্যাচ জেতার জন্য খেলবো। কম্বোডিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলে জিততে পেরেছি, যেহেতু আমরা প্রথম ম্যাচ জিততে পেরেছি, আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক উঁচুতে। পরের ম্যাচ নেপালের সঙ্গে, আমরাও চাই তাদের বিপক্ষে জিততে। জয়ের জন্যই আমরা খেলবো।’

কাঠমান্ডুতে গতবছর তিন জাতির ফুটবলে স্বাগতিকদের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এবার হারতে চাইছেন না ফরোয়ার্ড মতিন, ‘সর্বশেষ দেখায় আমরা নেপালের কাছে হেরেছি, কিন্তু এবার আমরা সবাই একসঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করছি। অনেক অনুশীলন করেছি, কষ্ট করেছি, তাই আশা করছি এবার আমরা ওদেরকে ওদের মাঠেই হারিয়ে যাব। এখানকার আবহাওয়া ভালো, দলের সবাইও ভালো আছে। সবাই মনপ্রাণ দিয়ে অনুশীলন করছে, যাতে করে পরের ম্যাচও আমরা জিততে পারি।’

কাঠমান্ডুতে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মাঠের অবস্থা তেমন ভালো নয়। এরই মধ্যে নিজেদের অনুশীলন চালিয়ে যেতে হচ্ছে। স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা সবকিছু মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন, ‘কম্বোডিয়া থেকে নেপালে আসার ১৫ ঘণ্টার ভ্রমণ সহজ নয়।  ছেলেরা অবশ্যই ওই ম্যাচের এবং ভ্রমণের পর ক্লান্ত। গত রাতে ঠিকঠাক বিশ্রাম নিয়েছে তারা। কাঠমান্ডুতে আজ আমরা প্রথম সেশন করেছি। আবহাওয়া ভালো, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ভারি বৃষ্টির কারণে মাঠের কন্ডিশন খুবই খারাপ। আমরা এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। রিকভারির দিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, যাতে করে খেলোয়াড়রা নেপালের বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে পারে।’

৩৭ বছর বয়সী কাবরেরা কম্বোডিয়ার বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছেন। তবে ম্যাচটি যে সহজ ছিল না তা অকপটে বলে গেলেন,‘আমরা জানতাম কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ কঠিন হবে। শুরুর ১০-১৫ মিনিট খুবই কঠিন ছিল; তবে ছেলেরা আধিপত্য করেছে; দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণে আমরা স্বচ্ছন্দ ছিলাম। ওরা বল পেয়েছে, কিন্তু বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেনি। আমাদের লক্ষ্য ছিল সেখানে জেতা, সেটা করতে পেরেছি। আমি খুশি। কিন্তু এটাই যথেষ্ট নয়, এখন আমাদের নতুন লক্ষ্য নেপাল ম্যাচ।’