লিভাকোভিচ যেন দুর্ভেদ্য প্রাচীর

ব্রাজিলের সব আক্রমণ গিয়ে প্রতিহত হচ্ছে ক্রোয়েশিয়ার দুর্ভেদ্য প্রাচীরে। সত্যিই যেন এদিন নেইমার, রিচার্লিসন, ভিনিসিয়ুসদের সামনে প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার ডোমিনিক লিভাকোভিচ। একের পর এক আক্রমণ ঠেকিয়ে গেলেন। শুক্রবার রাতে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হয় গোলশূন্য ড্রতে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ৯০ মিনিটে আটটি শট ঠেকিয়েছেন লিভাকোভিচ।

প্রথমার্ধে শুরুতে ব্রাজিলকে চাপে রাখার চেষ্টা করে ক্রোয়েশিয়া। খেলার জন্য প্রতিপক্ষকে স্পেস না দিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করে ক্রোটরা। ব্রাজিলের কোনও ফুটবলার বল ধরলেই ছেঁকে ধরেন তিন-চার জন।

১১ মিনিটে প্রতি আক্রমণে দারুণ এক সুযোগ পায় ক্রোয়েশিয়া। ডান দিক থেকে ক্রস করেছিলেন মদ্রিচ। কিন্তু ক্রসে পা ঠেকাতে পারেননি পেরিসিচ।

২০ মিনিটে পর পর দুটি আক্রমণ করে ব্রাজিল। প্রথমে ভিনিসিয়ুস পরে নেইমার। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণ তা আটকে দেয়।

৪২ মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে বক্সের সামান্য বাইরে ফাউল করা হয়। ফ্রিকিক পায় ব্রাজিল। নেইমারের পাস বিপক্ষ ফুটবলারের গায়ে লেগে হালকা ঘুরে গেলেও জমা পড়ে গোলকিপারের হাতে। গোলশূন্য বিরতিতে যায় উভয় দল।

বিরতির পর আরও আক্রমণাত্মক ব্রাজিল। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে ব্রাজিলকে বঞ্চিত করে ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণ ভাগ। ক্রোয়েশিয়ার এক ফুটবলারের হাতে বল লাগলেও রেফারি ভার-এর সঙ্গে পরামর্শ করে পেনাল্টি না দেওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত নিলেন। আক্রমণ বাড়াতে ৫৭ মিনিট রাফিনহাকে তুলে অ্যান্টনিকে নামান তিতে।  নেমেই ডান দিকে পাস বাড়িয়েছিলেন তিনি। অল্পের জন্য গোল হয়নি।

৬৬ মিনিটে পাকুয়েতার শট বাঁচিয়ে দেন লিভাকোভিচ। গোলকিপারের মাথায় ওপর দিয়ে শট মারতে গিয়েছিলেন পাকুয়েতা। লিভাকোভিচের হাতে লেগে বল কর্নার হয়ে যায়।

৭৬ মিনিট আবারও গোলের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু এবারও ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার ত্রাতা হয়ে উঠলেন। নেইমারের শট বাঁচিয়ে দেন লিভাকোভিচ।

৮০ মিনিটে আবারও দেয়াল হয়ে দাঁড়ালেন লিভাকোভিচ। অ্যান্টনির ক্রস পেয়েছিলেন রদ্রিগো। তার থেকে পাস পেয়েছিলেন পাকুয়েতা। তার শট আটকে দেন লিভাকোভিচ।