যা ঘটে গেলো, সেটা বিশ্বাসই হচ্ছে না: স্কালোনি

তখনও বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি, মঞ্চে রাখা বহুল প্রতীক্ষিত সোনালি রঙের ট্রফি। সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার নিয়ে ফেরার পথে লিওনেল মেসি একটা চুমু বসিয়ে দিলেন তাতে। একে একে অন্য খেলোয়াড়রাও তা-ই করেছেন। তবে তাদের কোচ লিওনেল স্কালোনি ব্যতিক্রম। তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশে সংযত, গম্ভীর। তিনি নিজের মেডেল নিয়ে ফেরার পথে আলতো করে ছুঁয়ে দিলেন তাতে, যেমনটা ছোট্ট শিশুকে কেউ আদর করে দেয়।

নিজের উচ্ছ্বাসকে সংযতভাবে উদযাপন আগে থেকেই, বিশ্বকাপ জিতেও খুব একটা পরিবর্তন হয়নি তাতে। তবে এদিন সন্তানদের সঙ্গে মাঠে কিছুক্ষণ নাচানাচি করেছেন। আবার ডুকরে কেঁদেছেনও। ম্যাচশেষে ভেজা চোখেই বলেছেন, ‘এই রাত কোনও দিন ভুলতে পারবো না। চারপাশে যা ঘটে গেলো, সেটা বিশ্বাসই হচ্ছে না। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতি ঠিক কী রকম, সেটা এবার বুঝতে পারছি।’

৩৬ বছর পর দলের এই অর্জনের কৃতিত্বও দিলেন দলকেই। মেসিদের ভূয়সী প্রশংসা করে বললেন, ‘এই পর্যন্ত আসতে বেশ লড়াই করতে হয়েছে আমাদের। আমি গর্বিত, আমার এই দল পাল্টা দিতে জানে। যেকোনও পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়াতে জানে। ম্যাচের সময় আমি শান্তই ছিলাম। কারণ, জানতাম এই দলটার ক্ষমতা রয়েছে ম্যাচে ফিরে আসার। আত্মবিশ্বাসই ওদের এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। এমনও ফুটবলার রয়েছে, যারা নিজেরাই এগিয়ে এসে বলেছে—চিন্তা নেই, আমি একাই দুজনকে আটকে দেবো। আর একজন এসে বলে দেয়—আমি তাকে পাস দিয়ে দেবো সময় মতো। এই বোঝাপড়াটাই বাকিদের থেকে ওদের আলাদা করে দিয়েছে।’

স্কালোনি (2)

দেশবাসীকে উদ্দেশ করে স্কালোনি বলেছেন, ‘এই মুহূর্ত জীবনে বারবার আসে না। সবাইকে বলবো, সময়টা ভালোভাবে উপভোগ করে নিন।’

তবে এই ফুটবলারদের আবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে, সেই ইঙ্গিতটাও দিতে ভোলেননি মেসিদের গুরু।