পরপারে এক বিশ্বকাপে ১৩ গোল করা ফন্টেইন

ফরাসি ফুটবল লিজেন্ড জাস্ট ফন্টেইন না ফেরার দেশে চলে গেলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।

মরক্কোয় জন্ম নেওয়া এই ফুটবলার আন্তর্জাতিক ফুটবলে খেলেছেন ফ্রান্সের হয়ে। এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোল করে নিজের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখে রেখেছেন। ১৯৫৮ সালে সুইডেনের আসরে মাত্র ছয় ম্যাচে ১৩ গোল করেন তিনি।

ইউএসএম ক্যাসাব্লাঙ্কার হয়ে নাম কুড়ানোর পর ফরাসি ক্লাব নিসের সঙ্গে চমৎকার ক্যারিয়ার পার করেন ফন্টেইন, ৬৯ ম্যাচে করেন ৪২ গোল। এছাড়া রেইমসের সঙ্গে ১৩১ ম্যাচে করেন ১২২ গোল।

ফ্রান্সের জার্সিতে মাত্র ২১ ম্যাচ খেলে ফন্টেইন জালের দেখা পেয়েছেন ৩০ বার। দুর্ভাগ্যবশত ইনজুরিতে তার ক্যারিয়ার দীর্ঘ হয়নি। মাত্র ২৮ বছর বয়সে ফুটবল ছেড়ে দেন।

খেলা ছাড়লেও ফুটবলের সঙ্গে ছিলেন। ফ্রান্স, লুচোন, পিএসজি, তুলোস ও মরক্কোর ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালে উয়েফা যুবিলি অ্যাওয়ার্ডসে ফরাসি ফুটবল তাকে ফ্রান্সের সেরা ৫০ ফুটবলারের তালিকায় রাখে। পরের বছর সেরা জীবন্ত ১৫০ ফুটবলারের মর্যাদা পান তিনি।

অভিষেকে হ্যাটট্রিক করা ফন্টেইন তার জাত চেনান ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে। ওইবার ব্রাজিলের কাছে হেরে সেমিফাইনালে বিদায় নেয় ফ্রান্স। ওই আসরে দারুণ কীর্তির স্বীকৃতিতে ২০১৪ সালের বিশ্বাকপে তার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল গোল্ডেন বুট।

রেকর্ড গড়া বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন পশ্চিম জার্মানিকে ৬-৩ গোলে হারায় ফ্রান্স, ম্যাচটিতে চার গোল করেন ফন্টেইন। শীর্ষ গোলদাতার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা পেলের চেয়ে সাত গোলে এগিয়ে ছিলেন তিনি।

ওইবার খেলারই কথা ছিল না ফন্টেইনের। কিন্তু থাডি সিসোস্কি ও রেনে বিলার্ডের ইনজুরিতে স্কোয়াডে জায়গা হয় এবং ছিলেন শুরুর লাইনআপে।

বিশ্বকাপে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় ফন্টেইন চার নম্বরে। মিরোস্লাভ ক্লোসা, রোনালদো, জার্ড মুলারের পর তার অবস্থান, গত বিশ্বকাপে তাকে ছোঁন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি।