‘আমি সবসময় এই মুহূর্তের স্বপ্ন দেখতাম’

বুয়েন্স আয়ার্স বৃহস্পতিবার উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছিল। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচের টিকিটের জন্য ১৫ লাখের বেশি আবেদন পড়েছিল। মাস মনুমেন্টালের ধারণক্ষমতা ৮৩ হাজার হওয়ায় অনেকে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে পারেননি, যে মুহূর্তের স্বপ্ন সবসময় দেখেছেন লিওনেল মেসি।

২০২১ সালে কোপা আমেরিকা জিতে দেশে ফেরার পর গর্বিত আর্জেন্টিনা দলকে একনজর দেখার জন্য বুয়েন্স আয়ার্সে ছিল উপচে পড়া ভিড়। ২৮ বছর পর প্রথম কোপা জিতেছিল আলবিসেলেস্তেরা। আর এবার যখন বুয়েন্স আয়ার্সে সমবেত মেসিরা, তখন তাদের জার্সিতে তিন তারকা। তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়ী দলকে বরণ করে নিতে কোনও কার্পণ্য করেননি আর্জেন্টাইনরা।

messi 6

আর এই উপলক্ষ মেসিরা উদযাপন করেছেন দারুণ জয়ে। পানামাকে ২-০ গোলে প্রীতি ম্যাচে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। থিয়াগো আলমাদার পর ফ্রি কিক থেকে নান্দনিক গোল করেছেন মেসি, যা ছিল তার পেশাদার ক্যারিয়ারের ৮০০তম। ম্যাচের শুরুতেই আবেগে ভাসতে দেখা যায় ৩৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডকে। জাতীয় সঙ্গীতের সময় তার চোখ ছিল ছলছল।

ম্যাচ শেষে বিশ্ব জয়ী দলকে জমকালো আয়োজনে বরণ করা হয়। দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানানো হয় তাদের। নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন মেসি। আরেকবার ট্রফিতে হাত বুলিয়ে দিয়ে সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী বলেন, ‘সমর্থনের জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এটার জন্য আমরা সম্ভাব্য সবকিছু চেষ্টা করেছি। এই মুহূর্তের স্বপ্ন আমি সবসময় দেখতাম। আজ আমাদের দিন, যেখানে আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দ উদযাপন করছি, কিন্তু আমি আমার আগের সতীর্থদের ভুলে যেতে চাই না, তারাও বিশ্বকাপ জেতার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিল। আমি ধন্যবাদ দিতে চাই আগের কোচদেরও, যারা এটার জন্য সর্বোচ্চটা নিংড়ে দিয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত হয়নি। চলুন তিন তারকা উপভোগ করি, এই ট্রফি জিততে আমাদের দীর্ঘ সময় লেগেছে, আমরা জানি না আবারও কবে পাবো এটা।’