আয়ারল্যান্ডকে হারাতে ঘাম ছুটলো ফ্রান্সের

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দাপট দেখিয়ে জিতেছিল ফ্রান্স। ইউরো বাছাইপর্ব শুরু হয়েছিল দারুণ জয়ে। সোমবার দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখলো তারা। কিন্তু আয়ারল্যান্ড তাদের সহজে ছেড়ে দেয়নি। ঘাম ছুটানো জয় পেয়েছে ফ্রান্স।

বেঞ্জামিন পাভার্দের একমাত্র গোলে আয়ারল্যান্ডকে হারালো গত বিশ্বকাপের রানার্সআপরা। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলার পর প্রথমবার জাতীয় দলের জার্সি পরলেন তিনি। জুলেস কুন্দের বদলে রাইট ব্যাক হিসেবে ফিরেই আস্থার প্রতিদান দিলেন গোল করে। তাতে নতুন অধিনায়ক কিলিয়ান এমবাপ্পে তার প্রথম দুই ম্যাচেই পেলেন জয়।

বল দখলে কেবল এগিয়ে ছিল ফ্রান্স। কিন্তু দুই দলই সমান ১১ শট নেয়, ফ্রান্স লক্ষ্যে রেখেছিল ৪টি, আয়ারল্যান্ড দুটি। আইরিশ গোলকিপার গাভিন বাজুনু দুটি সেভে হতাশ করেন ফ্রান্সকে। অন্যদিকে ফরাসি গোলকিপার মাইক মেগনানের তিনবার পরীক্ষা নেয় আয়ারল্যান্ড। বিশেষ করে শেষ মিনিটে নাথান কলিন্সের হেড একেবারে বারের নিচ থেকে ফিরিয়ে দেন তিনি।

তারও আগেই নিজেদের ভুলে একমাত্র গোল খায় আয়ারল্যান্ড। ডি বক্সের সামনে জ্যাসন নাইটকে বল পাস দিতে চেয়েছিলেন জস কুলেন। সুযোগ সন্ধানী পাভার্দ বল অন্যের পায়ে পড়ার আগে কেড়ে নেন। তারপর বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে গোল করেন।

৫০ মিনিটে পাভার্দের একমাত্র গোলে ১-০ তে জেতে ফ্রান্স। পরে এমবাপ্পে ও আদ্রিয়ান র‍্যাবিওট সুযোগ নষ্ট করলে ব্যবধান বাড়েনি।

ম্যাচ শেষে ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম স্বীকার করলেন ভোগার কথা, 'এরকম আগ্রাসী দলের বিপক্ষে খেলা কখনও সহজ নয়। আমরা এগিয়ে ছিলাম, কিন্তু তারা সেট পিস থেকে আমাদের হুমকি দিচ্ছিল। আমরা শক্ত ছিলাম, দুটি ভালো ম্যাচ হলো। যদিও শুক্রবারের মতো আজকের ম্যাচ ভালো ছিল না। হ্যাঁ, এরা ভিন্ন প্রতিপক্ষ। ছয় পয়েন্ট ঠিক আছে। দলকে অভিনন্দন।'

দুই ম্যাচে জিতে বি গ্রুপের শীর্ষে ফ্রান্স। এক ম্যাচ খেলে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় গ্রিস। জিব্রাল্টারকে ৩-০ গোলে হারিয়ে গোলপার্থক্যে তিনে নেদারল্যান্ডস। এক ম্যাচ খেলে আয়ারল্যান্ড চারে।