নাপোলির মাঠে ড্র করেও শেষ চারে মিলান

নাপোলির মাঠে জিততে পারেনি এসি মিলান। চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে শেষ অর্ধের যোগ করা সময়ে গোল হজম করে তারা। লিড নিয়েও তাই ১-১ গোলে ড্র করতে হয় মিলান ক্লাবকে। তবে প্রথম লেগ ১-০ গোলে জেতার সুবিধা পেয়েছে তারা। দুই লেগের অগ্রগামিতায় ২-১ গোলে জিতে সেমিফাইনালে মিলান।

১৬ বছরে প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ চারে উঠলো মিলান। শুরুতে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হলেও অলিভিয়ের জিরুদ দলের গুরুত্বপূর্ণ গোল করেন। নাপোলি ম্যাচে ফেরার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিল, তারা শট নিয়েছিল ২৩টি। খিভিচা কভারাৎসখেইলের পেনাল্টি মিসও হয়। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে অতিথি দলের রক্ষণকে পরাস্ত করে নাপোলি, ভিক্টর ওশিমেন সমতা ফেরান। তবে ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে, রোসোনেরিরা কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা উতরে যায়।

নাপোলি শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছে। কিন্তু মিলানের অদম্য রক্ষণকে ভাঙতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমের তৃতীয় মিনিটে ওশিমেন বুলেট হেডারে গোল করেন। তবে এর কয়েক সেকেন্ড পরই বাজে ম্যাচ শেষের বাঁশি।

মিলান তাদের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ইন্টার মিলান কিংবা বেনফিকার। প্রথম লেগে ইন্টার ২-০ গোলে জেতায় সেমিফাইনালও অল ইতালিয়ান হওয়ার সম্ভাবনা।

কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগ এক গোলে হেরে যাওয়ায় নাপোলি ব্যবধান কমাতে মুখিয়ে ছিল। শুরু থেকে সফরকারীরা তাদের রক্ষণ জমাট করে রাখে। ২২ মিনিটে মিলান পেনাল্টি পায়। মারিও রুই বক্সের মধ্যে রাফায়েল লিওকে ফাউল করেন। কিন্তু নাপোলি গোলকিপার অ্যালেক্স মেরেট ডাইভ দিয়ে জিরুদের নিচু স্ট্রাইক রুখে দেন।

মিলানই শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা পায়। ৪৩ মিনিটে রাফায়েল লিও মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে স্বাগতিকদের রক্ষণ চিড়ে জিরুদকে বল দেন, খুব কাছ থেকে ১-০ করেন ফরাসি তারকা।

ম্যাচ শেষ হওয়ার ৮ মিনিট আগে গোল শোধের সুযোগ পেয়েছিল নাপোলি। বক্সের মধ্যে ফিকায়ো তোমোরির হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পায় তারা, অতিথি গোলকিপার মাইক মাইগনান রুখে দেন খিভিচার শট। 

ওশিমেন শেষ দিকে গোল করে নাপোলির হার এড়ালেও সেমিফাইনালে ওঠার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। তাতে ২০০৭ সালের পর প্রথমবার ইউরোপিয়ান মঞ্চের সেমিফাইনালে মিলান।