ভেনেজুয়েলার এক ফুটবলারের কাছে হারলো বসুন্ধরা

ঘরোয়া ফুটবলে অনেকটাই অপ্রতিরোধ্য ছিল বসুন্ধরা কিংস। আগের ম্যাচে ফেডারেশন কাপে মোহামেডানের কাছে হেরে ছন্দপতন। শুক্রবার তো লিগে পুলিশ এফসির কাছে হেরে গেলো অস্কার ব্রুজনের দল। ভেনেজুয়েলার এক অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের জোড়া গোলে পুলিশ এফসি ২-১ গোলে বসুন্ধরা কিংসকে লিগে প্রথমবারের মতো হারের তিক্ত স্বাদ দিয়েছে। 

প্রথমার্ধে কিংসকে স্বরূপে দেখা যায়নি। ১৪ মিনিটে পুলিশের ভেনেজুয়েলার এডুয়ার্দ মুরিওর কোনাকুনি শট দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে যায়। 

২৩ মিনিটে কিংসের ইয়াসিন আরাফাতের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তিন মিনিট পর বক্সে ঢুকে ভালো অবস্থান থাকলেও ইয়াসিনের কোনাকুনি শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বাইরে যায়।

৩২তম মিনিটে ড্রিবলিং করে একক প্রচেষ্টায় এগিয়ে যান মুরিও। বক্সে ঢুকে একাধিক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে জাল খুঁজে নেন ভেনেজুয়েলার এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। আনিসুর রহমান জিকো কোনও প্রতিরোধই গড়তে পারেননি। 

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে মিগেলের পাসে দোরিয়েল্তনের শট অল্পের জন্য হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট।

দ্বিতীয়ার্ধে সমতার স্বস্তি ফিরে বসুন্ধরা শিবিরে। রবিনিয়োর থ্রু পাসে কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন রাকিব হোসেন। তারপর একের পর এক আক্রমণে পুলিশকে কাঁপিয়ে দিতে থাকে বসুন্ধরা। কিন্তু পোস্টের নিচে নেহাল হোসেন ছিলেন দুর্বার। 

পুলিশ জেগে ওঠে ৬২ মিনিটে। লেয়ান্দ্রো আম্বুইয়ার পাস ধরে একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন মুরিও। রিমন হোসেনকে ট্যাকল করার মুহূর্তে দারুণ ডজে তাকে ছিটকে দিয়ে বাঁ পায়ের শটে পুলিশকে ফের এগিয়ে নেন ভেনেজুয়েলার এই ফুটবলার। 

ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই অবিশ্বাস্য এক জয়ের আনন্দে মেতে ওঠে পুলিশ এফসির ফুটবলাররা। দিনের অন্য ম্যাচে শেখ জামাল ও শেখ রাসেল গোলশূন্য ড্র করেছে। 

১৫ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা কিংস লিগের শিরোপা দৌড়ে এগিয়েই আছে। ৩০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আবাহনী লিমিটেড। ২২ ও ২১ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে শেখ রাসেল ও শেখ জামাল। শেখ রাসেল অবশ্য এক ম্যাচ কম খেলেছে।