বর্ণবাদের শিকার হওয়ার পর লা লিগা কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। বলেছিলেন, ‘ব্রাজিলে স্পেনের পরিচয় বর্ণাবাদী দেশ হিসেবে।’ এমন মন্তব্যে উল্টো রিয়াল মাদ্রিদের এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারের সমালোচনায় মুখর ছিলেন লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস। বিষয়টি নিয়ে তুমুল বিতর্ক হওয়ায় নিজের করা টুইট নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন লা লিগা সভাপতি। তিনি বরং বলেছেন, তার টুইটকে ভুল ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
তেবাস ইএসপিএন ব্রাজিলকে বলেছেন, ‘আমার পুরো টিমকে এটাই বলি, যখন লোকজন বা তাদের একটা বড় অংশ কোনও বার্তা নির্দিষ্ট দিকে ইঙ্গিতবহ মনে করে, তখন তাদের এই ধারণাটাই ঠিক। সেক্ষেত্রে আমি দুঃখপ্রকাশ করছি। কারণ আমার বার্তাটা মানুষ ঠিকমতো বুঝতে পারেনি। বিশেষ করে ব্রাজিলে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমাকে ক্ষমা চাইতে হবে। কারণ যে উদ্দেশ্য নিয়ে লিখেছি; তার গুরুত্বপূর্ণ অংশটা কেউ বোঝেনি। আর সেটা হয়েছে ব্রাজিলে।’
তেবাসের দাবি কোনও অর্থেই ভিনিসিয়ুসকে আক্রমণ করার ইচ্ছা তার ছিল না, ‘আমার তাকে আক্রমণ করার কোনও ইচ্ছা ছিল না। শুধু এটা পরিষ্কার করতে চেয়েছি যে এক মাস আগেই লা লিগার পদক্ষেপের সমর্থনে সে ভিডিও বানিয়েছিল।’
স্পেনে ভিনিসিয়ুসকে কেন্দ্র করে বর্ণবাদ মাত্রা ছাড়িয়েছে। সর্বশেষ মাস্তেয়ায় ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে রিয়ালের ম্যাচই ছিল তার প্রমাণ। দ্বিতীয়ার্ধে গ্যালারি থেকে এক ভক্ত ব্রাজিলিয়ান তারকাকে বর্ণবাদী ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন। তাতে খেলাও বন্ধ থাকে অনেকক্ষণ।
ওই ঘটনার পরই ভিনিসিয়ুস সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেন, ‘বর্ণবাদ লা লিগায় খুবই স্বাভাবিক বিষয়। আর ব্রাজিলে স্পেনকে বর্ণবাদী দেশ হিসেবে দেখা হয়।’
তার জবাবে তেবাস টুইট করেছিলেন এভাবে, ‘স্পেন কিংবা লা লিগা কখনোই বর্ণবাদী নয়। এভাবে বলাটা অন্যায়। আমাদের ক্ষমতার মধ্যে লা লিগায় বর্ণবাদ খুবই কঠোরভাবে দমন এবং এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া হয়।’
এর পর বুধবার তেবাস আরও জানান, স্টেডিয়ামে বর্ণবাদ দমনের ক্ষমতা তাদের কাছে নেই। এটা মূলত স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের কাজ। কিন্তু তারা বিষয়টা কঠোরভাবে দমন না করায় তাদের সমালোচনা করেন লা লিগা সভাপতি। বলেছেন, লা লিগার ক্ষমতা থাকলে স্টেডিয়ামে এসব মাসের মধ্যেই সমাধান সম্ভব।