কিংসলে, কলিনদ্রেস, এমেকার নৈপুণ্যে আবাহনীর বড় জয়

এই তো দিন তিনেক আগে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর মোহামেডানে কাছে হেরে শিরোপা খোঁয়ালো আবাহনী লিমিটেড। ৮ গোলের ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস টাইব্রেকারে ম্যাচ হারের পর আজ শুক্রবার (২ জুন) প্রিমিয়ার লিগের ফিরতি পর্বে জয়ের ধারায় ফিরেছে মারিও লেমসের শিষ্যরা। শেখ জামালকে উড়িয়ে দিয়েছে ৩-০ গোলে। একটি করে গোলের দেখা পেয়েছেন এলিটা কিংসলে, এমেকা ওগবাহ ও  দানিয়েল কলিনদ্রেস।

কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধেই দুই গোল করে আবাহনী চালকের আসনে বসে। ২৩ মিনিটে কলিনদ্রেসের ক্রসে কিংসলের হেড জড়িয়ে যায় জালে। ডিফেন্ডার রায়হান হাসান সঙ্গে থেকেও পারেননি বিপদমুক্ত করতে। এটা নিয়ে লিগে কিংসলের গোলসংখ্যা ৮।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে  শেখ জামাল ম্যাচে ফেরার উপলক্ষ নষ্ট করে। বক্সের বাইরে থেকে ওতাবেকের জোরালো শট দূরের পোস্ট দিয়ে যায়। উল্টো আবাহনী যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয়। বাঁ প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে গোলকিপারকে কাটিয়ে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে কোনাকুনি শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমেকা।

বিরতির পরও আবাহনী ব্যাটনটা নিজেদের কাছেই রেখেছে। ৪৮ মিনিটে আবাহনী স্কোরলাইন ৩-০ করে। ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের ক্রসে কলিনদ্রেস ফাঁকায় আলতো  শটে গোল করেন। তিন গোলে পিছিয়ে থেকেও শেখ জামাল ম্যাচে ফেরার কম চেষ্টা করেনি। কিন্তু তাদের কোনও প্রচেষ্টাই গোলের মুখ দেখেনি।

৬৩ মিনিটে ওতাবেকেরে শট গোলকিপার সোহেল প্রতিহত করেন। শেষদিকে তাদের একটি প্রচেষ্টা দূরের পোস্ট দিয়ে গেলে কোনও গোলই শোধ দিতে পারেনি মারুফুল হকের শিষ্যরা।

দিনের অন্য ম্যাচে ময়মনসিংহে পিছিয়ে থেকেও ম্যাচ ড্র করেছে শেখ রাসেল। এফসি উত্তরার সঙ্গে ১-১ ড্রতে দুই দলই এক পয়েন্ট করে পেয়েছে।

আবাহনী ১৮ ম্যাচে ১১ জয়ে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। এই জয়ে তাদের রানার্স আপ হওয়া নিশ্চিত। এক ম্যাচ কম খেলে শেখ জামাল চতুর্থ হারে আগের ২১ পয়েন্টে ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছে। শেখ রাসেল ১৭ ম্যাচে মোহামেডানের সমান ২৩ পয়েন্ট নিয়েও গোলব্যবধানে পিছিয়ে থেকে পঞ্চম স্থানে ও এফসি উত্তরা ৫ পয়েন্ট নিয়ে অবনমিত হয়ে গেছে।