সাফ চ্যাম্পিয়নশিপকে সামনে রেখে জাতীয় দলের অনুশীলন চলছে। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ঘাম ঝরাচ্ছেন জামাল-তপু-জিকোরা। আজ বুধবার তাদেরকে উজ্জীবিত করতে টিম হোটেলে গিয়েছিলেন জাতীয় টিমস কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফের অন্যতম সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ।
হোটেলে গিয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদেরকে নানানভাবে উজ্জীবিত করারও চেষ্টা করেছেন তিনি। তার পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা করে তাদের বেশ উজ্জীবিত মনে হয়েছে। সামনের সাফটা হবে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। এই প্রথম সাফের ভৌগলিক এলাকার বাইরে থেকে দুটো দল টুর্নামেন্টে খেলছে (লেবানন ও কুয়েত)। তারা অত্যন্ত শক্তিশালী। আমাদের জন্য শুধু নয়, বাকি সব দলের জন্যই বিষয়টা চ্যালেঞ্জিং হবে।’
খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে কাজী নাবিলের বার্তা হলো, ‘খেলা হলো ৯০ মিনিটের। তারা যেন শতভাগ ভাগ দিয়ে খেলে। পুরো জাতি তাদের দিকে তাকিয়ে। আমাদের ঘরোয়া লিগে সবাই সেরা খেলোয়াড়। তারা যখন জাতীয় দলের জার্সি পরে, সারা জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে। সেই দায়িত্ববোধ থেকে তাদেরকে আরও বেশি মাঠে মনোযোগ দিতে হবে। আশা করছি, ভালো কিছু দিতে পারবে’
সবশেষ ২০২১ এর সাফ ও শ্রীলঙ্কাতে চারজাতি টুর্নামেন্টে কাছাকাছি গিয়েও ফাইনালে যেতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে ছিটকে যেতে হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতায় ম্যাচে মনোযোগ ধরে রাখতে খেলোয়াড়দের দৃষ্টি দিতে বলেছেন তিনি, ‘খেলা ৯০ মিনিটের। তার ওপর গড়ে তিন-চার মিনিট বেশি খেলা হয়(যোগ করা সময়)। ওই সময় আমাদের বেশি মনোযোগ দেওয়া দরকার। এডভান্টেজ থেকে রেজাল্ট যেন বদলে না যায়। মূলত খেলোয়াড়দের দুটো জিনিস লাগে- মনোযোগের পাশাপাশি ফিটনেস। ওই সময় পর্যন্ত খেলাটা ধরে রাখতে হবে। এটা করার জন্য কোচিং স্টাফদের দায়িত্ব বেশি। খেলোয়াড়দেরও সেভাবে তৈরি করতে হবে।’
মালদ্বীপের সাফ ও শ্রীলঙ্কার চার জাতি টুর্নামেন্টের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজী নাবিলের মূল্যায়ন, ‘২০২১ পর পর দুটো টুর্নামেন্টে এক গোলের কারণে ফাইনালে যেতে পারিনি। যেতে পারলে অন্তত একটাতে সাফল্যের সম্ভাবনা থাকতো। ভবিষ্যতে সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনালের ক্ষেত্রে আরও মনোযোগী হতে হবে।’
আগামী ১০ জুন কম্বোডিয়া যাবে বাংলাদেশ। তার আগে ভারতের ভিসা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। ভিসা নিয়ে কাজী নাবিলের কথা, ‘আমি নিজেও যোগাযোগ করছি ভিসা প্রাপ্তির জন্য। আশা করছি, পেয়ে যাবো।’