১৪ বছর অপেক্ষার পর সাফের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ। বেঙ্গালুরুর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে এবার লক্ষ্যটা ফাইনাল পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছে। তার আগে সেমিতে তাদের বড় বাধা কুয়েত। যারা প্রথমবার অতিথি কোটায় খেলতে এসেই গ্রুপসেরা হয়ে সেমি নিশ্চিত করেছে।
র্যাঙ্কিংয়ে কুয়েতের সঙ্গে বড় ব্যবধান থাকলেও শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় মাঠের খেলায় সেটি ঘুচিয়ে দিতে চায় বাংলাদেশ। কুয়েতের ফরোয়ার্ডদের রুখে দিয়ে সুযোগ বুঝে লক্ষ্যভেদ করে পথের কাঁটা সরাতে প্রতিজ্ঞ তারা। তাহলে যে ১৮ বছরের অপেক্ষাও ফুরোবে। ২০০৫ সালের পর খেলবে ফাইনাল।
এবারের সাফে বাংলাদেশ ধাপে ধাপে এগিয়েছে। শুরুতে লেবাননের কাছে হারলেও মালদ্বীপ ও ভুটানকে বিধ্বস্ত করে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছে তারা। সেমিফাইনালে ওঠে বাংলাদেশের প্রথম স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় এবার ফাইনালের স্বপ্নটিও অপূর্ণ রাখতে চান না স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ বলেছেন, ‘অবশ্যই সেমিফাইনাল আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল। সেটা পূরণ হওয়ায় শনিবার আমরা শুধু ম্যাচ উপভোগ করতে নামবো না এটা নিশ্চিত। আমাদের লক্ষ্য এখন ফাইনাল নিশ্চিত করা।’
কুয়েত গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচে নয় গোল করে সেমিফাইনালে খেলছে। ভারতকে রুখে দিয়ে হয়েছে গ্রুপ সেরা। টেকনিক্যালি ও শারীরিক দিক দিয়েও বাংলাদেশের চেয়ে তারা বেশ এগিয়ে। ফলে লড়াইটা হতে পারে কুয়েতের ফরোয়ার্ড বনাম বাংলাদেশের ডিফেন্সের। কাবরেরা অবশ্য তাতে উদ্বিগ্ন নন। প্রতিপক্ষ বিশ্লেষণ করেই মাঠে নামবেন তিনি, ‘আমরা প্রতি ম্যাচের আগেই প্রতিপক্ষ নিয়ে বিশ্লেষণ করি। জানি তারা শক্তিশালী দল। আমরা সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করছি।’
বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে লেবাননের কাছে দুই গোলে হেরেছে। শেষ দুই ম্যাচ জিতেছে আধিপত্য দেখিয়ে, করেছে ৬ গোল। তবে দুই ম্যাচেই শুরুতে গোল হজম করে ধাক্কা খেয়েছে। সেমিফাইনালে আগে গোল হজম না করার দিকে দৃষ্টি ৩৭ বছর বয়সী কাবরেরার, ‘এই বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করবো প্রথমে গোল হজম না করতে। দলও সেভাবে খেলবে। আমরা সবাই প্রস্তুত।’