‘শুধু সাফের দেশ থাকলে ফাইনালে যেতাম, ট্রফিও জিততে পারতাম’

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিফাইনালে কুয়েতের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বাংলাদেশের। বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে অতিরিক্ত সময়ে গোল খেয়ে বিদায় নিতে হয়েছে। এ নিয়ে খেলোয়াড়দের মধ্যে এখনও হতাশা কাজ করে। দেশে ফিরে তা কেউই লুকাননি। আজ রবিবার বাফুফে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া অকপটে স্বীকার করলেন, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে এমন বিদায়ে সবার মন এখনও খারাপ।

সাফে সেমিফাইনাল খেলায় খেলোয়াড়-কোচ এবং কর্মকর্তাদের ৫০ লাখ টাকা বোনাস দেওয়া হয়েছে। তিন জন খেলোয়াড় আলাদা করে টাকা পেয়েছেন। জামাল বোনাস পেয়ে খুশি, ‘আমরা সবাই খুশি। খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে যদি বলি, এখনও আমাদের মনটা খারাপ হয়ে আছে। কিন্তু তারপরও এটা আমাদের জন্য ভালো অনুপ্রেরণা। যে টোকেন (বোনাস) আপনারা (বাফুফে) আমাদের দিয়েছেন, আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা আরও পরিশ্রম করবো। সামনে অনেক খেলা আছে। যা বাংলাদেশ দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।  আমরা উজ্জীবিত আছি। দেশকে কিছু দিতে চাই।’

এবারের সাফে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে ৪-৪-২ ছকে খেলার চেষ্টা করেছে। এমন ছকে খেলার ইঙ্গিত নাকি কাজী সালাউদ্দিন ভারতে যাওয়ার আগেই দিয়ে রেখেছিলেন। জামাল তেমনটি জানিয়েছেন, ‘সাফ শুরুর আগে আমি, তপু ও সোহেল সভাপতির বাসায় গিয়েছিলাম। সভাপতি চাইছিলেন দুজন স্ট্রাইকার খেলাতে। আমরা শুনে অবাক হয়েছি। হয়তো সভাপতি সঠিক ছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে সেই ছকে খেলেছি। তাতে আমরা দুই ম্যাচে ৬ গোল করেছি। এটা আসলেই প্রশংসা করার মতো।’

সাফের বাইরে থেকে কুয়েত ও লেবানন খেলেছে। জামালের বিশ্বাস, শুধু সাফের দলগুলো নিয়ে টুর্নামেন্ট হলে বাংলাদেশ ফাইনালে খেলতে পারতো। জামাল বলেছেন, ‘আমরা খুশি। তবে আরও সাফল্য চাই। আমি নিশ্চিত টুর্নামেন্টে শুধু সাফের দেশ থাকলে শতভাগ ফাইনালে যেতাম। ট্রফিও জিততে পারতাম। ইনশাআল্লাহ ভালো দিন আসছে আমাদের সামনে।’