বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচের আগে কাজী শাহেদকে স্মরণ

দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী দল আবাহনী লিমিটেডের ডিরেক্টর ইনচার্জ ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক কাজী শাহেদ আহমেদ মারা গেছেন গত ২৮ আগস্ট সন্ধ্যায়। বাংলাদেশ-আফগানিস্তান প্রীতি ম্যাচে শ্রদ্ধা জানানো হলো তাকে। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাতে আজ ফিফা প্রীতি ম্যাচের প্রথমটিতে খেলছে দুই দল। ম্যাচের আগে প্রয়াত কাজী শাহেদ আহমেদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছেন দুই দলের খেলোয়াড়রা।

কাজী শাহেদ আহমেদ ১৯৪০ সালের ৭ নভেম্বর যশোরে জন্মগ্রহণ করেন। ইঞ্জিনিয়ারিং পাসের পর তিনি ১৪ বছর ধরে সেনাবাহিনীতে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠাকালীন প্লাটুন কমান্ডারদের একজন তিনি।

১৯৭৯ সালে ‘জেমকন গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তার ব্যবসায়ী জীবন শুরু। তিনি ছিলেন ‘খবরের কাগজ’ ও ‘আজকের কাগজ’-এর প্রকাশক ও সম্পাদক। বাংলাদেশে প্রথম অর্গানিক চা বাগানের প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। এছাড়াও তার রয়েছে অসামান্য কিছু অলাভজনক উদ্যোগ। এরমধ্যে আছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) ও কাজী শাহেদ ফাউন্ডেশন।

কাজী শাহেদ দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ঢাকা আবাহনীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দীর্ঘদিন যাবৎ। ৭৫ পরবর্তী সময়ে ক্লাবের দুর্দিনে তিনি হাল ধরেন। ১৯৯১ থেকে ক্লাব লিমিটেড হওয়ার পর ডিরেক্টর ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

মৃত্যুকালে কাজী শাহেদ আহমেদের বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী আমিনা আহমেদ বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী। তাদের তিন সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে কাজী নাবিল আহমেদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ এবং যশোর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। মেজো ছেলে কাজী আনিস আহমেদ খ্যাতিমান লেখক এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন, ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউন ও সাহিত্য পত্রিকা বেঙ্গল লাইটস-এর প্রকাশক। ছোট ছেলে কাজী ইনাম আহমেদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক।