‘প্রচণ্ড গরমে গায়ের চামড়া যেন পোড়াচ্ছিল'

কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের ম্যাচ চলছে। এই তো কয়েক দিন আগেও প্রচণ্ড গরমে খেলে পায়ে ফোসকা পড়ার অবস্থা ছিল অনেকের। আজ গোপালগঞ্জ শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের খেলাতেও প্রচণ্ড গরমে জেরবার অবস্থা খেলোয়াড়দের। 

এমনিতে কয়েক দিন ধরে গরমের মাত্রা বেড়েই চলেছে। আজ যেন আগের চেয়েও গরম বেশি অনুভূত হয়েছে। 

তার ওপর বিকাল ৩টায় ম্যাচ ছিল। যেখানে দিনের আলোতে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা কঠিন, সেখানে তপ্ত রোদে বসুন্ধরা কিংস ও রহমতগঞ্জ ম্যাচ হয়েছে। ম্যাচে কুলিং ব্রেক ছিল। তবে তা যথেষ্ট মনে হচ্ছিল না।

ম্যাচ শেষে কিংসের ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন বিষণ্ন সুরে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘মন গরমে এর আগে কখনও খেলিনি। গায়ের চামড়া যেন পোড়াচ্ছিল। মাঠে ৯০ মিনিট খেলাটা কঠিন হয়ে পড়েছিল। গোপালগঞ্জে মনে হচ্ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় খেলেছি!’

এমন গরমে স্বাভাবিক পারফরম্যান্স দেখানো কঠিন। রাকিব সেটাই যেন মনে করিয়ে দিলেন, ‘আসলে এমন গরমে খেলা অনেক কষ্টকর। নিজেদের স্বাভাবিক পারফরম্যান্স দেখানো যায় না। আজও কিছুটা হেরফের হয়েছে। তারপরও আমরা পেশাদার খেলোয়াড়, খেলে গেছি। তবে সামনে রাজশাহীতে খেলা আছে। ওখানে গরম আরও বেশি। কী হয় দেখা যাক।’

এরপরই আবেদন রেখে দেশের সেরা ফরোয়ার্ড বলেছেন, ‘এমন ম্যাচ আসলে ফ্লাড লাইটে হওয়া উচিত। এটা সব দলের জন্যই হতে পারে।’

ম্যাচটি গোপালগঞ্জে বসে দেখেছেন লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান। পরিস্থিতি বুঝে অসহায়ের সুরে বলেছেন, ‘আমাদের বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ঠিক থাকলে আজ এমন পরিস্থিতি হতো না। চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে খেলোয়াড়দের বেশি কষ্ট হচ্ছে। প্রয়োজনে ওদের খেলাও ফ্লাড লাইটে করা যেতো। এছাড়া পেশাদার লিগে তিন ভেন্যুতে ফ্লাড লাইট নেই। সিলেট ও চট্টগ্রামে থাকলেও সেখানে কেউ খেলতে চায়নি। সূচি মেনে খেলা আয়োজন করতে হচ্ছে।  খেলোয়াড়দের কষ্ট হচ্ছে, বুঝতে পারছি। সামনের মৌসুমে বিষয়টি মাথায় থাকবে।’