মোহামেডানকে রুখে দিলো পুলিশ, চট্টগ্রাম আবাহনী দিলো ৫ গোল

প্রিমিয়ার লিগে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের পাশাপাশি পুলিশ এফসিও ভালো করে চলেছে। পয়েন্ট ব্যবধানে বেশ ফারাক থাকলেও দুই ক্লাবই শক্তির দিক দিয়ে একে অন্যের কাছাকাছি। আজ শনিবার দুই ক্লাব ফিরতি পর্বে শক্তির পরীক্ষা দিয়েছে। তাতে করে কেউই জিততে পারেনি। মোহামেডান ও পুলিশের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে। অথচ প্রথম পর্বে মোহামেডান তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর ৩-২ গোলে পুলিশকে হারিয়েছিল।

ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে মোহামেডানের সঙ্গে সমানতালে খেলেছে পুলিশ। গোলের আক্রমণও করেছিল। কিন্তু লন্ডন প্রবাসী সাবেক ক্রিকেটার হালিম শাহের ছেলে সৈয়দ কাজেম শাহ সুযোগ পেয়েও দলকে এই ম্যাচে গোল এনে দিতে পারেননি।

ম্যাচ ঘড়ির ১৮ মিনিটে কাজেম সতীর্থের কাটব্যাক থেকে নিচু শটে গোলকিপারকে পরাস্ত করলেও বল বারের নিচে লেগে প্রতিহত হয়। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে তার আরও একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। তার নেওয়া দূরপাল্লার শট গোলকিপার সুজন প্রতিহত করেন।

বিরতির পর আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ নির্ভর খেলা হয়েছ। দুই দলই সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু গোল করতে পারেনি। শেষ দিকে মোহামেডানের একজন ফুটবলার কাটব্যাক থেকে ফাঁকায় ঠিকমতো প্লেসিং করতে পারেননি। পারলে হয়তো তিন পয়েন্ট নিশ্চিত হতে পারতো।

দিনের অন্য ম্যাচে রাজশাহী স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আবাহনী ৫-০ গোলে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে বিধস্ত করেছে। প্রথমার্ধে বিজয়ী দল ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল।

লিগে টানা তৃতীয় জয়ের পর আবারও ড্রয়ের মুখ দেখলো মোহামেডান। ১৩ ম্যাচে ষষ্ঠ ড্রয়ে শিরোপা দৌড় থেকে পিছিয়ে পড়লো সাদা-কালোরা। ২৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে আলফাজ আহমেদের দল। তাদের চেয়ে সাত পয়েন্টে এগিয়ে থেকে শীর্ষে বসুন্ধরা কিংস (৩৪)। সমান ম্যাচে তৃতীয় ডৃয়ে ১৮ পয়েন্টে চতুর্থ স্থানেই পুলিশ। চট্টগ্রাম আবাহনী চতুর্থ জয়ে ১৬ পয়েন্ট পেয়ে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে। ব্রাদার্স ইউনিয়ন দশম হারে আগের ৩ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে থেকে ধীরে ধীরে রেলিগেশনের দিকে যাচ্ছে।