কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার শুরু হতে যাচ্ছে ফেডারেশন কাপ ফুটবল। অথচ এই মাঠেই এতদিন নিয়মিত ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হয়েছে। সোমবার বিকালেও দেখা গেলো মাঝমাঠ থেকে ক্রিকেট পিচ তোলা হয়েছে। ফুটবল মাঠের জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি নেই। তাই প্রশ্ন উঠেছে অনেকটাই অনুপযুক্ত মাঠে ফুটবল কেন?
ফেডারেশন কাপে এখানে হতে যাচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যাচ। ম্যাচের ভেন্যু নিয়ে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পেশাদার ফুটবল লিগ ম্যানেজমেন্ট কমিটির প্রধান ইমরুল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘কী করবো বলুন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ৬ মাসের জন্য কুমিল্লা স্টেডিয়াম আমাদের বরাদ্দ দিয়েছে। কুমিল্লা ডিএসএ আবার এই সময়ে ক্রিকেট আয়োজন করেছিল। তারা জানে এই সময় ফুটবলের জন্য বরাদ্দ। তারপরও এমনটি করেছে। যার কারণে ফেডারেশন কাপের আগের দিনও ক্রিকেট পিচ তুলতে দেখা গেছে। যদিও আমরা ভেন্যু পরিবর্তন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ব্রাদার্স ইউনিয়ন রাজি হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে কুমিল্লাতেই ম্যাচটা আয়োজন করতে হচ্ছে।’
এরপরই নিজের যুক্তি তুলে ধরে এই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘লিগ শুরুর পর আমরা ফেডারেশন কাপ শুরু করতে যাচ্ছি। কুমিল্লা স্টেডিয়ামটি দুটি ক্লাবের হোম ভেন্যু। সেই ভেন্যু খেলার উপযোগী রাখার দায়িত্ব কিন্তু ক্লাবগুলোর, বাফুফের নয়। পেশাদার যুগে বাফুফের ওপর সবকিছু ছাড়লে কীভাবে হবে। এছাড়া তারা রাজশাহী-নীলফামারীর মতো ভালো ভেন্যুতে যেতে চায় না।’
ব্রাদার্স ইউনিয়নও দিয়েছে পাল্টা যুক্তি। তাদের ম্যানেজার আমের খান বলেছেন, ‘এবার লিগ ও ফেডারেশন কাপের জন্য বেছে নেওয়া মাঠের বেশিরভাগের অবস্থাই খারাপ। বাফুফে এসব ভেন্যু আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। ব্রাদার্স শুরুতেই চিঠি দিয়ে বসুন্ধরা কিংসকে হোম ভেন্যু করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই অনুরোধ টেকেনি। পরবর্তীতে আর্মি স্টেডিয়াম, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামও চেয়েছি। সেগুলোও আমাদের দেওয়া হয়নি। শেষে মুন্সিগঞ্জের কথা বললে সম্মত হই। পরে অবশ্য জানতে পারি, সেই ভেন্যুতে দর্শক ও সংবাদ মাধ্যমের প্রবেশের অনুমতি নেই। সেটা জানার পর আমরা মুন্সিগঞ্জেও প্রথমে খেলতে অস্বীকৃতি জানাই।’
ম্যাচের ভেন্যু পরিবর্তনের বিষয়ে আমের খান বলেন, ‘মুখে বলা আর লিখিতভাবে জানানোর মধ্যে অনেক ফারাক আছে। বাফুফে আমাদের চিঠি দিয়ে কিছু জানায়নি। আমি মনে করি, এর দায় বাফুফের নির্বাচিত কোন ব্যক্তির নয়। মাঠ যে খেলার উপযোগী নয়, সেটার খবর তো সর্বপ্রথম থাকতে হবে প্রফেশনাল লিগ আয়োজনের দায়িত্বে থাকা বিভাগের লোকজনের। তাদের কাছেই আসলে কোন রকম তথ্য থাকে না। ফলে ভুগতে হয় ক্লাব ও খেলোয়াড়দের। আর দোষ গিয়ে পড়ে বাফুফের শীর্ষ কর্তাদের ওপর।’
এমন চাপান উতরের মধ্যেই ফেডারেশন কাপ শুরু হতে যাচ্ছে!