প্রিমিয়ার লিগে ১০জন নিয়ে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে জিতেছিল মোহামেডান স্পোর্টিং। ফেডারেশ কাপেও একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হলো তারা। কিন্তু এবার ভাগ্য সহায় হয়নি। আক্রমণে এগিয়ে থেকেও বরং ম্যাচ হারতে হয়েছে। ১০ জনের মোহামেডানকে ১-০ গোলে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে রহমহগঞ্জ।
মঙ্গলবার কিংস অ্যারেনাতে ‘বি’ গ্রুপে পুরো ম্যাচের অধিকাংশ সময়ে মোহামেডানের দাপট চলতে থাকে। ইমানুয়েল সানডে-আরনেস্ট বোয়েটাংরা সুযোগ পেয়েও গোলের দেখা পাননি। রহমতগঞ্জের গোলকিপার মামুন আলিফ একাই তিনটি গোলের সুযোগ নস্যাৎ করে দেন। ম্যাচের ১৩ মিনিটে মোহামেডান সুযোগ পায়। জিসানের ক্রসে বোয়েটাংয়ের হেড মামুন আলিফ ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন। পরের মিনিটে মুজাফফরভের কর্নারে বোয়েটাংয়ের হেড ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হলে হতাশ হতে হয় সমর্থকদের। ১৫ মিনিটে সানডের ভাসিয়ে দেওয়া বলে বোয়েটাংয়ের হেড গোলকিপার বসে পরে সেভ করেছেন। পরের মিনিটে রহমতগন্জেরর স্যামুয়েল বোয়েটাংয়ের শট এক ডিফেন্ডার ব্লক করেন।
২৯ মিনিটে সানডে বক্সের ভিতরে বল নিয়ে কিছু করার আগে দৌড়ে এসে মামুন আলিফ বল তালুবন্দী করেছেন। যোগ করা সময়ে মোহামেডানের একজনের হেড মামুন আলিফ তালুবন্দী করেন। বিরতির পরও মোহামেডানের দাপট চলতে থাকে। ৬১ মিনিটে সানডের দুর্বল শট গোলকিপার জায়গায় দাঁড়িয়ে তালুবন্দী করেন। ৬৯ মিনিটে মুজাফফরভের বুলেট গতির শট ক্রস বারের একটু ওপর দিয়ে গেলে আবারও হতাশ হতে হয় তাদের।
৭৫ মিনিটে তো বক্সের ভেতরে থেকেও ইমানুয়েল সানডে ফাঁকায় ভলি শট নিতে পারেননি। ৮৩ মিনিটে অনেকটাই ধারার বিপরীতে গোল পায় রহমতগঞ্জ। বক্সে ঢুকে রাজন হাওলাদার কাটব্যাক করলে এক ডিফেন্ডার প্রতিহত করেন। ফিরতি বলে ৬ গজের ঠিক বাইরে থেকে কোনাকুনি শটে এক ডিফেন্ডার ও গোলকিপারকে পরাস্ত করেন রাজন।
দুই মিনিট পর মোহামেডান ১০ জনের দলে পরিণত হয়। মোস্তফা কারবাহা কিছু একটা বলছিলেন, সেটি সহ্য না হলে ডান হাত দিয়ে মুখে আঘাত করেন শান্ত। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে লাল কার্ড দেখান তাকে। বাকি সময়টুকু ১০ জন নিয়ে খেলে মোহামেডান হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে।