শৈশবের ক্লাব সান্তোসে আবেগঘন প্রত্যাবর্তন হয়েছে নেইমারের। ৩৩তম জন্ম দিনে ব্রাজিলিয়ান পাউলিস্তা চ্যাম্পিয়নশিপে বোতাফোগোর বিপক্ষে বেঞ্চ থেকে মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু যেখান থেকে তার ক্যারিয়ারের শুরু সেখানে ফিরে আহমরি কিছু করে দেখাতে পারেননি। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ১-১ ড্রয়ের দিনে নিষ্প্রভ-ই থেকেছেন।
নেইমারকে বরণ করতে দ্য উরবানো কালদেইরা স্টেডিয়ামে দেখা মেলে আবেগঘন পরিবেশের। আনন্দে আত্মহারা ও অশ্রুসজল ভক্তরা নেইমারকে বীরোচিত অভ্যর্থনা জানাতে মোবাইল ফোনের আলো জ্বালিয়ে সৃষ্টি করেন ভিন্ন এক আবহের। ১২ বছর আগে সান্তোস ছেড়ে যাওয়া ঘরের ছেলের জন্য তাদের উচ্ছ্বাসের কোনও কমতি ছিল না।
অবশ্য ঘরের ছেলেকে দেখতে বেশ অপেক্ষা করতে হয়েছে তাদের। নেইমার বেঞ্চ থেকে মাঠে নামেন বিরতির পর। প্রথমার্ধে সান্তোস পেনাল্টি থেকে লিড নিয়েছিল। গোল করেছিলেন তিকিনহো। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামলেও ১৬ মাস পর খেলতে নামা নেইমার প্রত্যাশার চাপ সামলাতে পারেননি। কিছু চিরাচরিত মুভ দেখালেও সেটা যথেষ্ট ছিল না। এসবের মাঝেই ৬৭ মিনিটে বোতাফোগোকে সমতায় ফেরান অ্যালেক্সান্ডার ডি জেসুস। চার মিনিট বাদে নেইমারের ওপর ফাউল করায় মাঠ ছেড়ে যান ওয়ালিসন। তার পরেও সান্তোস ১০ জনের প্রতিপক্ষের সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি।
ম্যাচের পর নেইমার নিজেও আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। জানান, ‘কোনও কিছুর প্রতি ভালোবাসা থাকলে সেসব ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সান্তোসকে ভীষণ ভালোবাসি। মাঠে নামার পর আমার যে অনুভূতি হয়েছে, সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।’
ম্যাচ নিয়ে বলেছেন, ‘ম্যাচটা ভীষণ কঠিন ছিল। বাবাকেও বলেছি, ম্যাচটা কঠিন। বিশেষ করে পেছনে তারা অনেক মার্ক করে খেলছিল। যারা ভীষণ রক্ষাণত্মক, ভীষল ট্যাকল করে খেলে। আমার মনে হয় আরও ধৈর্য ধরতে হবে এবং অনুশীলন করতে হবে।’